সৌদি আরবের ক্লাবের সঙ্গে আরও আগেই চুক্তিটা হয়ে গেলেও চোট পুরোপুরি না সারায় জার্সি গায়ে তোলা হচ্ছিল না নেইমার জুনিয়রের। এরপর বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেললেও তিনি গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না। এমনও হয়েছে মাঠজুড়ে তার উপস্থিতি স্পষ্ট, সতীর্থদের বেশকিছু গোলে বলও জুগিয়েছেন। শুধু জালের সঙ্গে দেখা হচ্ছিল না ব্রাজিল সুপারস্টারের। অবশেষে আল-হিলালের হয়ে নিজের গোলের খাতা খুলে ফেললেন সাবেক এই পিএসজি তারকা। ফলে এফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে তার দল ৩-০ ব্যবধানের বড় জয় পেয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে ইরানের ক্লাব নাসাজি মাজান্দারানের মাঠে তাদের মুখোমুখি হয় আল-হিলাল। সৌদি ক্লাবটির হয়েও এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলে ফেললেও দলবদলের বাজারে রেকর্ড গড়া নেইমার গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না। আগের ম্যাচে পেনাল্টিতে তিনি গোল হাতছাড়া করলেও, দুটি গোলেই ছিল তার অবদান। এদিন ৫৮ মিনিটে নিজের ক্লাব ফুটবলের গোলখরা ঘুচিয়েছেন তিনি। 

নেইমার ছাড়াও ম্যাচে গোল পেয়েছেন ইংলিশ ক্লাব ফুলহাম ছেড়ে এই মৌসুমে আল-হিলালে নাম লেখানো আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ ও সালেহ আল-শেহরি। প্রতিপক্ষের মাঠে আল-হিলাল দুই অর্ধেই আধিপত্য দেখিয়ে খেলেছে। আগের ম্যাচ ড্র করায় এই ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সামনে জয়ের বিকল্প ছিল না।

ম্যাচের ১৮ মিনিটেই লিড পেয়ে যায় আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকা আল-হিলাল। মোহাম্মদ আল বুরায়েকের বাড়ানো বলে জাল খুঁজে নেন মিত্রোভিচ। ৩৮ মিনিটে তর্কে জড়িয়ে দুই দলের একজন করে ফুটবলার লাল কার্ড দেখেন। ফলে উভয় দলই পরিণত হয় দশ জনে। ইরানি ক্লাবটির আমির মোহাম্মদ হাউসম্যান্ড এবং নেইমারের সতীর্থ সালমান আল-ফারাজকে মাঠ ছাড়তে হয়। এরপর ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আল-হিলাল।

দ্বিতীয়ার্ধে একইভাবে দাপট ধরে রাখে সৌদি ক্লাবটি। সেই ধারাবাহিকতায় ৫৮ মিনিটে বাঁ পায়ের জোরালো শটে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যান নেইমার। নাসের আল দাওয়াসারির সঙ্গে দারুণ এক বোঝাপড়ায় তিনি ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। এরপর হালকা সময় নিয়ে নিজের ‘দুর্বল’ বাম পায়েই দ্রুতগতির শট নেন, যা রুখে দেওয়ার সাধ্য ছিল না প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের। ম্যাচটি ২-০ তেই শেষ হতে যাচ্ছিল, তবে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত তৃতীয় মিনিটে আল-হিলালের হয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন সালেহ আল-শেহরি।

দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ডি গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে আল-হিলাল। সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নাভবাহোর।

এর আগে ইরানের আজাদী স্টেডিয়ামের মাঠ দেখে কিছুটা ‘শকড’ হয়েছিলেন নেইমার। সেই মাঠের ছবি দেখে তার মন্তব্য ছিল- ‘দিস ইজ নট পসিবল’। সেই ছবিতে মূলত মাঠে কৃত্রিম টার্ফ বসাতে দেখা যায় মাঠকর্মীদের। অবশ্য খেলার আগেই পুরো প্রস্তুত হয়ে যায় আজাদী স্টেডিয়ামের পিচ।

এএইচএস