চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিষিদ্ধ হতে পারে বার্সেলোনা
চলতি বছরের মার্চে রেফারিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাব বার্সেলোনার বিরুদ্ধে। রেফারিদের টেকনিক্যাল কমিটির সাবেক প্রধান হোসে মারিয়া এনরিকস নেগরেইরাকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ার দাবি করেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো। যা সত্যি হলে ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বাদ পড়তে পারে বার্সেলোনা।
১৯৯৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্পেনের রেফারিদের টেকনিক্যাল কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন নেগরেইরা। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে তার কোম্পানি ‘ডিএএসএনআইএল নাইন্টি ফাইভকে’ বার্সেলোনা অর্থ প্রদান করে বলে জানতে পেরে নড়েচড়ে বসে স্পেনের প্রসিকিউটর অফিস।
বিজ্ঞাপন
গতকাল (বৃহস্পতিবার) স্প্যানিশ আদালতের নির্দেশে দেশটির ফুটবল রেফারি কমিটির হেডকোয়ার্টারে অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযানে যাওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা। তবে সেখানে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এদিকে, অফিসিয়াল কোনো ঘোষণা না এলেও স্প্যানিশ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের দাবি বার্সেলোনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
— ESPN FC (@ESPNFC) September 28, 2023
শুরু থেকেই নিজেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে বার্সেলোনা। ক্লাবটির দাবি, ফুটবল বিষয়ক টেকনিক্যাল সহায়তা পেতেই নেগ্রেইরার কোম্পানিকে অর্থ প্রাদান করেছে তারা। একটি পক্ষ বার্সেলোনার ক্ষতি করতে এমন অভিযোগ করছে বলেও সাফ জানিয়ে দেন বার্সেলোনার সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা। এবার নেগেরেইরা কান্ডে নিজেদের আবারও নির্দোষ দাবি করেছেন সাবেক বার্সা খেলোয়াড় ও ক্লাবটির কোচ জাভি হার্নান্দেজ।
জাভি হার্নান্দেজ বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে বার্সেলোনার হয়ে খেলেছি। আমার কখনও মনে হয়নি ম্যাচে রেফারিরা আমাদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি এখনও বলছি তদন্তের রায় আমাদের পক্ষে যাবে।’
— MARCA (@marca) September 29, 2023
অফিসিয়ালি অভিযোগ প্রমাণিত হলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হতে পারে কাতালান ক্লাবটিকে। এছাড়া তাদের দীর্ঘ মেয়াদে নিষেধাজ্ঞাও দিতে পারে উয়েফা।
এর আগে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, ২০১৬ সালে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৭২৮ ইউরো, ২০১৭ সালে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৭৫২ ইউরো ও ২০১৮ সালে ৩ লাখ ১৮ হাজার ২০০ ইউরো ওই কোম্পানিকে প্রদান করে বার্সেলোনা। কোম্পানিটির কর নিরীক্ষণের পর তদন্ত শুরু হয় এবং নেগরেইরা ও তার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রসিকিউটর অফিস। সেই জিজ্ঞাসাবাদের পরই অভিযোগ দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষের আনজীবীরা।
এএইচএস