বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণার আগেই তামিম ইকবালের না থাকার কথা ছড়িয়ে পড়ে। সেটিই শেষপর্যন্ত সত্য বলে দৃশ্যমান হয়। দেশসেরা এই ওপেনারকে দলে না রাখার বিষয়ে চোটের অস্বস্তি কিংবা আনফিট থাকার কথা বলেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। পরে এক ভিডিও বার্তায় তামিম জানান তিনি নিজ থেকেই দলে থাকতে চাননি। একইসঙ্গে তিনি টিম ম্যানেজমেন্ট ও বিসিবির ‘নোংরামি’র শিকার বলে অভিযোগ করেছেন। 

এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি তামিমের দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না বলে উল্লেখ করেছেন।

নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে দেওয়া ভিডিওতে মাশরাফি বলেছেন, ‘বোর্ডের পক্ষ থেকে কেউ একজন তামিমের সঙ্গে কথা বলেছে, যেখানে একপর্যায়ে সে (তামিম) উত্তেজিত হয়ে যায়। এরপর সে নিজে থেকে দলে থাকতে চায়নি। আমি মনে করি এটা তার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।’

‘আমরা দুটো ভিডিও দেখেছি, তামিমের পর সাকিব, যে বর্তমানে অধিনায়ক; সে সাক্ষাৎকার দিয়েছে। সেখানে সে কিছু কথা বলেছে। আমার কাছে কোনোভাবেই মনে হয়নি তামিমের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়াটা উচিৎ হয়েছে। এখন তামিমের একটা ইস্যু ছিল তার ইনজুরি। ইনজুরিটা থাকলে কিছু করার নাই। কিন্তু বোর্ড তাকে নিয়ে একটা কমফোর্ট জোনে ছিল। সবার সাথে বোর্ড থেকে একটা ক্লিয়ার যোগাযোগ ছিল যে তামিমকে আমরা ক্যাপ্টেন হিসেবে দেখছি। তবুও ইনজুরি এবং সবমিলিয়ে তার ক্যাপ্টেন্সি ছাড়া উচিৎ হয়েছে কি না তামিমই বলতে পারবে’, যোগ করেন মাশরাফি।

তিনি আরও বলেন, ‘তামিম ইনজুরির কারণে কনফিউজড হয়ে ক্যাপ্টেন্সিটা ছেড়েছিল। তবে তাকে আরেকটু অ্যানালাইসিস করে দেখা দরকার ছিল- সে আসলে ওয়ার্ল্ডকাপ পর্যন্ত গিয়ে কতটুকু ফিট থাকবে। কারণ ক্যাপ্টেন্সিটা যদি ছাড়তেই হতো, তাকে ৬ মাস বা ১ বছর আগে ছাড়া দরকার ছিল। বিসিবি ধরেই নিয়েছিল তামিমই ক্যাপ্টেন্সি করবে, সেই সুযোগটা তাকে দিয়েছিল। আমি মনে করি তামিম সুযোগটা নিতে পারত। কিন্তু সে এরপর ‘‘আমি খেলতে চাই না’’ বলে যে কথাটা বলেছিল, সেটি ঠিক নয়। কারণ রাগ-ক্ষোভের সময়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটা সঠিক হয় না।’

এএইচএস