প্যারিসিয়েন সেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) কাটানো তিক্ততায় ভরা দুটি মৌসুম নিয়ে অনেকবারই কথা বলেছিলেন লিওনেল মেসি। তার সেই সময়টা যে কতটা বিষাদময় ছিল, তা কারও অজানা নয়। এবার নিজের মনে চেপে থাকা আরও একটি বেদনার কথা জানালেন বিশ্বজয়ী এই মহাতারকা। তার ভাষায়, ‘আমিই একমাত্র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফুটবলার, যে ক্লাব (পিএসজি) থেকে কোনো স্বীকৃতি পাইনি।’

ইউরোপ ছেড়ে বর্তমানে আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মায়ামিকে নতুন ঠিকানা বানিয়েছেন মেসি। সেখানকার বাড়িতে বসেই তিনি ‘ওলগা’ চ্যানেলে ‘মিগে গ্রানাদেস’ নামে আর্জেন্টাইন এক ইউটিউবারের কাছে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। যেখানে তার কাটানো সুখ-দুঃখের নানা সময়কে ‘সব কিছুই একটি নির্দিষ্ট কারণে ঘটে’ বলে উল্লেখ করেছেন এলএমটেন।

এছাড়া সবকিছু প্রত্যাশিত না হলেও তা মেনে নিতে হয় বলে মনে করেন মেসি। এই প্রসঙ্গ মূলত পিএসজিতে কাটানো সময়ের কথা বলতে গিয়েই তিনি ব্যাখ্যা করে বসেন, ‘এটি এমন-ই ঘটেছে, সত্যটি আমার প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল না। তবে আমি সবসময় বলি যে বিষয়গুলো নির্দিষ্ট কোনো কারণেই ঘটে এবং যদিও আমি সেখানে (পিএসজি) ভালো ছিলাম না। সেখানে থাকাকালীন আমি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’

এরপরই তিনি ফাইনালে ফ্রান্সকে পরাজিত করার বিষয়টি তুলে ধরেন, ‘সত্যিটা হচ্ছে আমি সে (কিলিয়ান এমবাপে)-সহ সবার সঙ্গে খুশি ছিলাম। কিন্তু এটা বোধগম্য যে সে সেই জায়গায় ছিল যেখানে আমরা ফাইনাল জিতেছিলাম এবং এটা আমাদের দোষ যে তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। সে কারণে আমিই একমাত্র খেলোয়াড় ছিলাম যে ক্লাব থেকে কোনো স্বীকৃতি পাইনি। অথচ দলের (আর্জেন্টিনা) আরও ২৫ জন খেলোয়াড় ঠিকই স্বীকৃতি পেয়েছে, আমার ক্ষেত্রে সেরকমটা হয়নি।’

আরও পড়ুন >> র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল আর্জেন্টিনা

সবশেষে বিশ্বকাপ জয়ের পরের মুহূর্ত বর্ণনা করেন মেসি, ‘কী হয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর? ধারাবাহিক উপভোগ্য মুহূর্ত এবং আমি সে পরিস্থিতি পছন্দ করি। আমি খেলতে উপভোগ করি, তবে অবশ্যই সেটি ভিন্ন পন্থায়। সে কারণেই আমার এখানে (ইন্টার মায়ামি) আসা এবং ইউরোপের বাইরে ভিন্ন অভিজ্ঞতা তৈরি করতে চেয়েছি।

এর আগে বার বার ভক্তদের দুয়ো ও তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল মেসিকে। তা নিয়ে ক্লাব ছাড়ার পর জানিয়েছিলেন, ‘এখানে মানিয়ে নেওয়া ছিল কঠিন। যতটা ভেবেছিলাম তার চেয়েও কঠিন। ড্রেসিংরুমে পরিচিত মুখ ছাড়া নতুন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন ছিল। দেরিকে ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম, প্রাক মৌসুম পাইনি, নতুন শহরে মানিয়ে নেওয়া, যা আমার ও আমার পরিবারের জন্য কঠিন ছিল। এরপর মানুষ আমাকে ভিন্নভাবে দেখতে শুরু করে। পিএসজি ভক্তরা ছাড়া শুরুতে যেভাবে আমাকে প্যারিসে গ্রহণ করা হয়েছিল, অধিকাংশ সেভাবেই দেখতো।’

এএইচএস