মাস দেড়েক আগের কথা। লিওনেল মেসির জোড়া গোল আর অ্যাসিস্টের সুবাদে আটালান্টা ইউনাইটেডকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল ইন্টার মায়ামি। এবার সেই মায়ামি যেন পুরোপুরি অচেনা। মেসি না থাকায় যেন ছন্দই হারিয়ে ফেলেছে হর্নেটসরা।

চোটের ঝুঁকি এড়াতে আটলান্টার বিপক্ষে মেসির না খেলার বিষয়টি আগেই জানা গিয়েছিল। মেসিকে ছাড়া আগের ম্যাচে জিতেছিল মায়ামি। কিন্তু ফ্লোরিডার ক্লাবটি এবার আর সেই ধারা ধরে রাখতে পারেনি। ৫ গোল হজম করে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে দলটি। আটলান্টার কাছে ৫-২ গোলের এই পরাজয় কঠিন করে তুলেছে এমএলএস-এ মায়ামির প্লে-অফ স্বপ্ন।

অথচ এদিন ম্যাচের শুরুতে লিড নিয়েছিল মায়ামি। মেসির বদলে গত ম্যাচে জয় এনে দিয়েছিলেন লিওনার্দো কাম্পানা। এই ম্যাচেও জ্বলে ওঠেন তিনি। ২৫ মিনিটে তার গোলেই এগিয়ে যায় মায়ামি। কিন্তু গোল করেই যেন আটালান্টাকে তাতিয়ে দেন কাম্পানা।

৩৬ থেকে ৪৪ এই ৮ মিনিটে মায়ামি হজম করলো ৩ গোল! ৩৬ মিনিটে ট্রিসান মুয়াম্বা আর ৪৪ মিনিটে গোল করেন ব্রুক লেনন। মাঝে ৪১ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করেন মায়ামির কামাল মিলার।

বিরতির পর আরও একবার গুছিয়ে খেলার চেষ্টা চালায় মায়ামি। এবারও ছিল প্রথমার্ধের ব্যর্থতা। একইভাবে কাম্পানা আরও একবার গোল করেছেন। ৫৩ মিনিটে সে গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে। তাতে আটালান্টা আবারও জ্বলে ওঠার বারুদ পায়। ৭৪ আর ৮৯ মিনিটে গোল আসে জর্জিয়াস গিয়াকোমাকিস এবং টেইলর ওল্ফের পা থেকে। তাতেই নিশ্চিত হয় মায়ামির বড় হার।

এই হারের পর ২৭ ম্যাচে ৯ জয়, ৪ ড্র এবং ১৫ হার নিয়ে ১৫ দলের তালিকায় ১৪ নম্বরে আছে ইন্টার মায়ামি। তাদের নিচে আছে শুধু এফসি টরন্টো, যাদের পয়েন্ট ২৫। এই হারে প্লে-অফ অবস্থানের সঙ্গেও ব্যবধানটা আরও বাড়ল। ৯ নম্বরে থাকা ডিসি ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৩৭।

জেএ