এএফসি অ-১৭ নারী বাছাই : আশাবাদী অধিনায়ক, সতর্ক কোচ
বাংলাদেশের নারী ফুটবলের বাকবদলের গল্পটা এএফসি অ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে খেলার মাধ্যমে। ২০১৭ ও ১৯ টানা দুই বার জুনিয়র এশিয়া কাপের সেরা আটে খেলেছে বাংলাদেশ। করোনার জন্য ২০২১ সালে এই আসর হয়নি। ২০২৪ সালের জন্য দ্বিতীয় ধাপের বাছাই শুরু হবে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে।
গত এপ্রিলে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরে এই বাছাইয়ের প্রথম পর্বের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। প্রথম পর্বের আট গ্রুপের আট চ্যাম্পিয়ন দল দ্বিতীয় বাছাইয়ে দুই গ্রুপে খেলছে। দুই গ্রুপের দুই শীর্ষ দল আগামী বছর ইন্দোনেশিয়ায় মূল পর্বে খেলবে। গত আসরের তিন শীর্ষ দল উত্তর কোরিয়া, চীন ও জাপান সরাসরি মূল পর্বে অংশ নেবে।
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয় ধাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া ও ফিলিপাইন। বাংলাদেশের অধিনায়ক রুমা আক্তার সরাসরি মূল পর্বে খেলার আশা ব্যক্ত করেছেন,‘আমরা তিনটি ম্যাচই জিততে চাই। জিতে তৃতীয় রাউন্ড (মূল পর্ব) খেলতে চাই। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ অধিনায়ক রুমা দৃঢ় কণ্ঠে বললেও কোচ মাহবুবুর রহমান লিটুর কন্ঠ খানিকটা ম্রিয়মাণ,‘গ্রুপের তিন দলই আমাদের চেয়ে র্যাংকিং ও শক্তিমত্তায় এগিয়ে। আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব।’
চার দলের গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল পরের পর্বে খেলবে। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ স্বাগতিক ভিয়েতনামের সঙ্গে। ঐ ম্যাচকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কোচ, ‘যে কোনো টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভিয়েতনামের বিপক্ষে সুন্দর সূচনা করতে চাই। এটি হলে টুর্নামেন্টে ইতিবাচক ফল আসতে পারে।’
সিনিয়র জাতীয় দলের র্যাংকিংয়ের সঙ্গে পার্থক্য অনেক হলেও জুনিয়র পর্যায়ে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। গত দুই আসরের মূল পর্বে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দারুণভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। ভিয়েতনামকেও বয়সভিত্তিক পর্যায়ে হারানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। এরপরও কোচ আশাবাদী না হওয়ার একটি কারণ দাঁড় করালেন, ‘আগের দলগুলোর সঙ্গে এই দলগুলো মেলানো ঠিক হবে না। তারা দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল। এই দলের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বলতে সিঙ্গাপুর বাছাই আর সাফের টুর্নামেন্ট। সানজিদা-কৃষ্ণাদের তুলনায় এই দলের অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে।’
২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে মূলত দেখভাল করতেন ব্রিটিশ ট্যাকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি। সঙ্গে ছিলেন প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। দুই জনই বাফুফে ছেড়েছেন। তাদের অনুপস্থিতিতে লিটুর ওপর বাড়তি চ্যালেঞ্জ কি না এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘বাড়তি চাপ মনে করছি না। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছি। এবার দেশের বাইরে হেড কোচ হিসেবে যাচ্ছি। নিজের দায়িত্ব ভালোমতো পালন করতে চাই।’
ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বাছাই পর্ব খেলতে বাংলাদেশ দল ১৮ সেপ্টেম্বর রওনা হবে। এই উপলক্ষ্যে আজ বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এতে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপারসন মাহফুজা আক্তার কিরণ, পৃষ্ঠপোষক ঢাকা ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আব্দুল বাকীসহ টিম ম্যানেজার ও দলনেতা উপস্থিত ছিলেন।
এজেড/এফআই