কোচিং বরাবরই ঝুকিপূর্ণ পেশা। সেই ঝুকিপূর্ণ পেশায় হাঁটছিলেন ১৯৯৯ সাফ গেমসের স্বর্ণজয়ী ফুটবলার গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য্য। গত চার বছর জাতীয় দল, একাডেমী ও ক্লাব পর্যায়ে কোচিং করিয়েছেন। কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে বিপ্লবের সময় ভাল যাচ্ছেনা। সম্প্রতি কোচিংয়ের সুযোগ না পেয়ে উল্টো বাধাগ্রস্ত হওয়ায় চরম হতাশা ও সংকট প্রকাশ করেছেন দেশের সাবেক এই তারকা ফুটবলার। 

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরের দিকে বিপ্লব তার ফেসবুকে একটি হতাশাজনক স্ট্যাটাস দেন। যার মূল অর্থ, যোগ্যতা-সামর্থ্য থাকার পরেও দেশের ফুটবলে কাজ করতে পারছেন না। এই স্ট্যাটাসের প্রেক্ষিতে বিপ্লবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,‘ আসলে আমি খুব হতাশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমার যোগ্যতা-সামর্থ্য সবই রয়েছে সব পর্যায়ে গোলকিপিং কোচিং করানোর কিন্তু কাজের সুযোগ পাচ্ছি না। অনেক জায়গায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছি।’ কারা তার ক্যারিয়ারে বাধা সৃষ্টি করছেন সেটি অবশ্য পরিষ্কার বা খোলাসা করে বলেননি।

আরও পড়ুন>> ‘বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে চাই’

দেশের শীর্ষ ফুটবল কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক, মারুফুল হক, সাইফুল বারী টিটু ও জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু চার জনই আসন্ন প্রিমিয়ার লিগে কোনো দলের সঙ্গে চুক্তি করেননি এখনো। অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত কোচদের এই অবস্থার প্রেক্ষিতে বিপ্লব নিজের অবস্থান সম্পর্কে বলেন, ‘মানিক ভাই একটু দূরে রয়েছে বাকি যারা রয়েছেন তারা কোথাও না কোথাও কাজ করছেন ( টিটু মহিলা দল, মিন্টু অ-২৩ দল ) । আমিও কাজ করার অধিকার রাখি কিন্তু সেই সুযোগ আমাকে কোথাও দেয়া হচ্ছে না। ’

বিপ্লব জাতীয় ফুটবল দলের গোলরক্ষক কোচ ছিলেন। পাশাপাশি বাফুফের এলিট একাডেমী ও নারী দলকেও কোচিং করিয়েছিলেন। বাফুফের সাবেক ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলির অধীনে তিনি ভালোই কাজ করছিলেন। এরপরও আকস্মিকভাবে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে গোলরক্ষক কোচ হিসেবে যোগ দেন। এর কারণ প্রসঙ্গে বলেন,‘ ফেডারেশনের আমি কাজের সুযোগ ভালোই পেয়েছি কিন্তু এত পরিশ্রমের পরেও পারিশ্রমিক সেই অর্থে পাইনি।’

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফুটবলের চেয়ে পরিবারের জীবিকা নির্বাহই বড় চিন্তার কারণ বিপ্লবের কাছে, ‘আমি দুই মাস ধরে কোনো কাজ করছি না। ফুটবলই ছিল ধ্যান-জ্ঞান। অন্য কোনো ব্যবসা বা চাকুরিতে যাইনি। এখন ফুটবল নিয়ে কাজ করতে পারছি না। পরিবার চালাতে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা বা প্রয়োজনে দেশেও অনাকাঙ্খিত পেশায় দেখলে আপনাদের অবাক হবার থাকবে না। ’

এজেড/জেএ