ব্রাজিল-বলিভিয়া ম্যাচে বক্সের ভেতর ভাল অবস্থানে বল পেয়েও বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন। এমন মিসের পর ব্রাজিল কোচ ফার্নান্দো দিনিজের অভিব্যক্তিতে বিরক্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। একও পর্যাতে তো মাঠ থেকেই রিচার্লিসনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বদলি নেমে যাওয়ার পর ডাগআউটে বসে কাঁদতেও দেখা যায় এই স্পার্স স্ট্রাইকারকে।

রির্চালিসনের এমন বিপর্যস্ত অবস্থার কারণটা অবশ্য কারো অজানা নয়। লম্বা সময় ধরে গোলখরায় ভুগছেন ব্রাজিলের নাম্বার নাইন। বিশ্বকাপে ছিলেন উড়ন্ত ফর্মে। আগের ক্লাব এভারটনেও ফর্ম খুব একটা মন্দ ছিল না। কিন্তু টটেনহ্যামে এসেই যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন এই স্ট্রাইকার। এসব কারণে এবার ইংল্যান্ডে ফিরেই মনোবিদের কাছে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।  

আরও পড়ুন>> বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নেইমারের রেকর্ড

রিচার্লিসন অবশ্য নিজের ভাগ্যকেও কিছুটা দোষ দিতে পারেন। পেরুর বিপক্ষে একবার বল জালে জড়ালেও সেই গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। টটেনহ্যামের হয়েও একাধিকবার অফসাইডে বাতিল হয়েছে তার গোল। চলতি মৌসুমে ক্লাবের হয়ে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে করেছেন ১ গোল। বিশ্বকাপের পর থেকে ব্রাজিলের জার্সিতেও নেই কোন গোল। 

ব্রাজিলিয়ান সংবাদপত্র গ্লোবোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিচার্লিসন বলেছেন, ‘পাঁচ মাস ধরে মাঠের বাইরে আমার খুব বিপর্যস্ত সময় যাচ্ছে। ঘরে এখন সমস্যাগুলোর সমাধান হয়েছে। যেসব মানুষের চোখ আমার অর্থের ওপর ছিল, তারা আমার থেকে দূরে সরে গেছে। এখন সবকিছু আবার গতিশীল হবে। আমি নিশ্চিত, টটেনহামে আবার দারুণ কিছু করতে শুরু করব। সবকিছু আবার ঠিকঠাক হবে।’

বিপর্যস্ত এই অবস্থার শেষে মানসিক সুস্থতার দিকেও মনোযোগ দিচ্ছেন রিচার্লিসন, ‘আমি ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে মানসিকভাবে শক্ত হতে মনোবিদের শরণাপন্ন হব। এটুকুই। আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব। আমি বিশ্বাস করি যে আমি পরের স্কোয়াডে থাকব। টটেনহামের হয়ে এখন ছন্দ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।’

জেএ