‘ফুটবল ফর হেলথ’ স্লোগানে একাডেমি শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ফুটবল খেলতে ইচ্ছুকরা এই একাডেমিতে মাসিক ফি প্রদানের মাধ্যমে ফুটবল শিখতে পারবে। ৭ সেপ্টেম্বর ছিল বাফুফে একাডেমিতে ভর্তির আবেদনের শেষ দিন। 

৮-১০ এবং ১১-১৪ এই দুই বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ৪০ জন করে প্রথম ব্যাচে ভর্তি করানোর পরিকল্পনা ছিল বাফুফের। ৮-১০ বছরে একটু কম সাড়া পড়েছে। ৪০ জনের মধ্যে ৩২ জন ভর্তি হয়েছে। তবে ১১-১৪ বছর বয়সী গ্রুপে যথেষ্ট ভালো সাড়া পেয়েছে ফুটবল ফেডারেশন। এই গ্রুপে ৪০ জন পূরণ হয়েছে ডেডলাইনের একদিন আগেই। আরো অনেকে ভর্তি হতে আগ্রহী। 

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচ মাহবুবুর রহমান পলো একাডেমীর ভর্তি প্রক্রিয়া তদারকি করছেন। তিনি এ সম্পর্কে বলেন, ‘অভিভাবকরা অত্যন্ত আগ্রহী বাচ্চাদের ফুটবল শেখাতে। বাচ্চারাও খুব খুশি তাদের ফুটবল শেখার সুযোগ পাওয়ায়। উভয় গ্রুপে আমরা যথেষ্ট সাড়া পেয়েছি। ৮-১০ বয়সভিত্তিক গ্রুপে আট জন কম রয়েছে। ডেভলপমেন্ট কমিটির নির্দেশনা পেলে আমরা সেই আট জনের কোটা ১১-১৪ গ্রুপে বৃদ্ধি করতে পারি।’

আবেদনকৃতরা বাফুফে ভবনে নির্দিষ্ট ফরমপূরণ এবং ২ হাজার টাকা ভর্তি ফি প্রদান করেছেন। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বাফুফে প্রথম ব্যাচে ভর্তি করিয়েছে। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার বিকেলে ও শুক্র-শনি সকালে বাফুফে ভবন সংলগ্ন আর্টিফিশিয়াল টার্ফ ও কমলাপুর স্টেডিয়ামে এই আগ্রহী বালকরা ফুটবল শিখতে পারবেন। প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে বাফুফে মাসিক ৩ হাজার টাকা করে ফি নেবে। ১৬ সেপ্টেম্বর বাফুফের নতুন এই অনাবাসিক একাডেমী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হওয়ার কথা। বাফুফে একাডেমির দূত হিসেবে রয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেতা জাহিদ হাসান। 

নতুন যে কোনো কিছুর যাত্রা নানা প্রশ্নের মধ্যে পড়ে। ফুটবল ফেডারেশনের ডেভলপমেন্ট কমিটির এই উদ্যোগও এর বাইরে ছিল না। বিশেষ করে অর্থের বিনিময়ে বাফুফে কেন ফুটবল শেখাবে এবং প্রতি ব্যাচে ৪০ জন করে ভর্তির লক্ষ্যমাত্রা পুরণ নিয়েও সংশয় ছিল। এই দুই প্রশ্ন ইতোমধ্যে উৎরে গেছে ফেডারেশন।

তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিষয়টি এখনো অসমাপ্ত। বাফুফে ভবন সংলগ্ন আর্টিফিশিয়াল টার্ফ এবং কমলাপুর স্টেডিয়ামের মূল মালিকানা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। সরকারের কোনো স্থাপনা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার এবং এ থেকে আয় হলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে একটি অংশ জমা দেওয়ার বিধান।
 
এজেড/এফআই