২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল। জার্মানির বিপক্ষে পিছিয়ে আর্জেন্টিনা। অন্তিম সময়ে ফ্রি কিক ঠিকঠাক নিতেই পারলেন না লিওনেল মেসি। এরপর বিশ্বকাপের হার। সেদিনের সেই ফ্রি কিক গোলে পরিণত করতে না পারার আক্ষেপটা নিশ্চয়ই আছে মেসির মনে। 

তবে মেসির বদলে যাওয়ার শুরুটা সেখান থেকেই। দিনে দিনে নিজেকে ডেড বল স্পেশালিস্ট করেছেন এই আর্জেন্টাইন। ইকুয়েডরের বিপক্ষে আজ (শুক্রবার) আলবিসেলেস্তেদের জয়ে একমাত্র গোলটাও মেসি করেছেন সেই স্পটকিকেই। এই গোলের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ফ্রি-কিক গোলের তালিকায় চারে উঠে এলেন মেসি। যেখানে তার সঙ্গে অবস্থান করছেন ইংলিশ কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যাম। তাদের দুজনেরই ফ্রিকিকে গোল ৬৪টি। 

ফ্রি কিক থেকে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক অবশ্য এক ব্রাজিলিয়ান। সাবেক ফুটবলার জুনিনহো ক্লাব এবং দেশের হয়ে করেছেন ৭৭ ফ্রি কিক গোল। তালিকার ২য় স্থানেও আছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে। ফুটবলের রাজপুত্র খ্যাত এই স্ট্রাইকারের ফ্রি কিক গোল ৭০টি।

তিনে আছেন মেসিরই সাবেক সতীর্থ রোনালদিনহো। সাবেক এই সেলেসাও গ্রেটের ফ্রিকিক গোল ৬৬টি। ৩য় স্থানে অবশ্য আরও একজন আছেন। আর্জেন্টিনার ভিক্টর লেগ্রোটাগ্লিয়ে ফ্রি কিকে করেছেন সমান সংখ্যক গোল। তালিকায় এরপরেই আছে মেসি এবং ডেভিড বেকহ্যামের নাম। তাদের গোল ৬৫ টি করে। 

মেসির ফ্রি কিক গ্রাফটাও বেশ চোখে পড়ার মতোই। ২০১৩ সালের শেষেও এই আর্জেন্টাইনের ফ্রি কিকে গোল ছিল মাত্র ১৪টি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ততদিনে করেছেন ৩৯ গোল। তবে মেসি বদলে যেতে থাকেন ২০১৪ বিশ্বকাপের পর থেকে। ২০১৮ সালে তার পা থেকে এসেছে ১০ ফ্রি কিক গোল। পরের বছর এসেছে ৮টি। 

চলতি বছরও ক্লাব ও জাতীয় দলের জার্সিতে ফ্রি কিক থেকে ৫ গোল করেছেন এলএমটেন। ক্যারিয়ারে প্রতি ১৬ ম্যাচে একটি করে সফল ফ্রি কিক আছে তার। ৩৬ বছরেও ফর্মের তুঙ্গে থাকা মেসি যেভাবে ছুটে চলেছেন, তাতে শীর্ষ স্থানে চলে আসাও হয়ত অস্বাভাবিক নয়। 

জেএ/এফআই