লাহোরের গাদ্দাফিতে ক্রিকেট ম্যাচ প্রথম ইনিংস শেষের আগেই ঢাকায় বসুন্ধরার কিংস অ্যারেনা বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ফুটবল ম্যাচ সমাপ্ত। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ড্র হয়েছে। গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দুই দল।
 
বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে আজকের ম্যাচটি ছিল বিশেষ। প্রথম কোনো ক্লাবের স্টেডিয়ামে জাতীয় ফুটবল দল ম্যাচ খেলল। এ রকম একটি বিশেষ উপলক্ষ রাঙিয়ে তোলার সুযোগ ছিল জামাল-জিকোদের। সেই সুযোগ এসেছিলও। কিন্তু রাকিব-মোরসালিনদের ব্যর্থতায় রাঙেনি কিংস অ্যারেনা। 

কিংস অ্যারেনার আন্তর্জাতিক অভিষেক। বসুন্ধরা কিংস আয়োজনে ঘাটতি রাখেনি কোনো কিছুতে। সুন্দর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ আনুষাঙ্গিক সবই করেছে। শুধু একটু ঘাটতি ছিল খেলার প্রাণ দর্শকে। ছয় হাজার ধারণক্ষমতার গ্যালারির অর্ধেকের একটু বেশি পূর্ণ ছিল। গোল পোস্টের পেছনে বাংলাদেশের পতাকা ও বাদ্য নিয়ে খেলোয়াড়দের উজ্জ্বীবিত করার চেষ্টা ছিল। এটা মাঠে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি।

ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সুযোগটি মিস করেন বাংলাদেশের ওয়ান্ডার বয় শেখ মোরসালিন। ৫৫ মিনিটে রাকিবের বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি। মোরসালিনের নেয়া শট পোস্টের উপর দিয়ে যায়। মিনিট সাতেক পর মিস করেন রাকিবও। এটি অবশ্য মোরসালিনের মতো খুব সহজ ছিল না। 

ম্যাচের ৬০ মিনিটে অধিনায়ক জামাল ভূইয়া ও তারিক কাজীকে দিয়ে খেলোয়াড় বদলের শুরু বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবেররার। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূইয়াকে কোচ সাধারণত ৫০-৬০ মিনিটের মধ্যে বদলি করেন। আজ প্রীতি ম্যাচেও তাই করেছেন। জামালকে বদলানোর কিছুক্ষণ পর মোরসালিনকেও উঠিয়ে নেন।

বদলি হিসেবে নামা ফয়সাল আহমেদ ফাহিম খেলায় একটু গতি এনেছিলেন। অন্যদের পরিবর্তনের প্রভাব তেমন চোখে পড়েনি। নেপালের রেফারিরা সাত মিনিট ইনজুরি সময় দিয়েছিলেন। সেই সময়ও বাংলাদেশ গোলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। 

দ্বিতীয়ার্ধের মতো প্রথমার্ধেও ম্যাচে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ ও সুযোগ বেশি ছিল। বিশেষ করে মোরসালিন ও রাকিবের বোঝাপড়ায় সুন্দর একটি আক্রমণ হয়েছিল। ২৪ মিনিটে মোরসালিনের বাড়ানোর বলে রাকিব বক্সে দারুণ জায়গায় বল পেয়েছিলেন। একটু বল নিয়ে প্রবেশ করে শটও নেন। ততক্ষণে আফগান ডিফেন্ডার ব্যাক করেন। 

মিনিট তিনেক পরেই আফগানরা কাউন্টার অ্যাটাক করে। কাউন্টার অ্যাটাকটি গোল হয়ে যাচ্ছিল প্রায়। আফগাদের শট তারিক কাজীর পায়ে লেগে বলের দিক পরিবর্তন হয়ে পোস্টের একটু পাশ দিয়ে যায়। গোলরক্ষক জিকো ছিলেন নিরুপায়।

২৯ মিনিটে বাংলাদেশ দ্রুত গতির কাউন্টার অ্যাটাক করে। আফগান গোলরক্ষক ফয়সাল আহমেদ বক্সের অনেক সামনে এগিয়ে আসেন কয়েক বারই। এই যাত্রায় তিনি অনেক সামনে ছিলেন। বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন বল নিয়ন্ত্রণও নেন। এরপরও গোল পায়নি শেষ পর্যন্ত। 

বৃষ্টির জন্য মাঠ কিছুটা ভারী। দুই দলের ফুটবলারই ফাউল করেছেন বেশ কয়েকবার। দুই দলই কয়েকটি ফ্রি কিক পেলেও তেমন আক্রমণাত্মক কিছু করতে পারেনি। প্রথমার্ধে কর্ণার সংখ্যা আফগানদের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল।

এজেড/এফআই