আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের দল সোল দে মায়োতে অভিষেক ম্যাচটা এখন পর্যন্ত বেশ ভালোই কেটেছে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার। বাফুফের কাছ থেকে ছাড়পত্র পাবার একদিন পরেই ক্লাবটির জার্সিতে মাঠে নেমেছেন। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড নিয়েই অভিষেক হয়েছে আর্জেন্টাইন ক্লাবে। আর তাতে শুরুটাও হয়েছে দারুণ। জার্মিনালের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমার্ধের খেলা শেষে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে জামালের সোল দে মায়ো। 

আজ রোববার আর্জেন্টাইন ক্লাব সোল দে মায়োর জার্সিতে আর্জেন্টিনার ৩য় বিভাগের ফুটবলে নিজের যাত্রা শুরু করেছেন জামাল। বাংলাদেশ অধিনায়ককে বরণের সকল প্রস্তুতিই নিয়েছে সোল দে মায়ো। ব্যানার-পোস্টারে বাংলা ভাষার প্রয়োগ দেখা গিয়েছে। অনেক আর্জেন্টাইন ‘ ওয়েলকাম জামাল’ ব্যানার করেছে।

ম্যাচ শুরু থেকেই অবশ্য কিছুটা কোণঠাসা ছিল সোল দে মায়ো। প্রথম দশ মিনিটে খুব একটা গোছানো ফুটবল উপহার দিতে পারেনি তারা। বেশ কয়েকবার ঝুঁকির মুখেও ছিল। এমনকি প্রথমার্ধে রক্ষণের ভুলে এক গোল খেয়েও বসে সোল দে মায়ো। তবে অফসাইডের কল্যাণে বাদ যায় সেই গোল। 

ম্যাচে অবশ্য সোল দে মায়ো ফিরে এসেছে খুব দ্রুতই। বেশ কয়েকবার আক্রমণে দেখা গিয়েছে তাদের। বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রিকিকও এসেছে। তবে গোলের মুখ দেখা হয়নি তাদের। ডেডলক ভেঙেছে ম্যাচের ৩০ মিনিটে। 


পরিকল্পিত এক আক্রমণের সূত্র ধরে ডিবক্সে বল পান সোল দে মায়োর ফার্নান্দো ভালদেবেনিতো। দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে শেষ পর্যন্ত বল জালে জড়ান তিনি। ওই এক গোলের লিড নিয়েই শেষ পর্যন্ত বিরতিতে গিয়েছে দুই দল। 

বাংলাদেশের অধিনায়ক আর্জেন্টিনার লিগে খেলছে বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমের কাছেও। তৃতীয় বিভাগ লিগেও বেশ বড় সংখ্যক মিডিয়ার উপস্থিতি দেখা গেছে। অন্য দিকে বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূইয়া ব্রাজিলের সমর্থক হলেও আর্জেন্টিনার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা মিস করতে চাননি। অনেক জটিলতা কাটিয়ে জামালের আর্জেন্টিনার ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি প্রথম বাংলাদেশি ফুটবলার হিসেবে আর্জেন্টিনার লিগে খেলার রেকর্ড গড়লেন। 

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭৫ সালে হংকংয়ের ক্যারোলিন হিল ক্লাবে খেলেছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। এরপর নব্বইয়ের দশকে ইমতিয়াজ সুলতান জনি, শেখ আসলাম, সাব্বির,রুমি,রক্সিরা কলকাতার লিগে খেলেছেন। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম ভারতের ফ্রাঞ্চাইজ লিগ আইএসএলে দলে থাকলেও খেলার সুযোগ পাননি সেভাবে। 

জেএ