এক চুমুর ধাক্কা এখনো সামলে ওঠা হয়নি স্পেনের। দেশটির স্থানীয় পর্যায় থেকে ফিফা কার্যালয় সবখানেই আলোচনার কেন্দ্রে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসের চুমু। বিশ্বকাপ জয়ের পর দলের খেলোয়াড় হেনিফার হেরমোসোকে চুমু দিয়ে বসেন তিনি। যে বিতর্কে অবসরে যাআর ঘোষণা দিয়েছেন স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা। ফিফাও রুবিয়ালেসকে দিয়েছে ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা। 

প্রায় একইরকম আরেক বিতর্কেই বুঝি জড়িয়ে পড়ছিলেন স্প্যানিশ লেফটব্যাক জর্দি আলবা। লিওনেল মেসির স্ত্রীর সঙ্গেই বিতর্কে জড়াতেন তিনি। দুজনেই অবশ্য ভুল বুঝেছিলেন। তবে মেসির স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জো সতর্ক থাকায় বিষয়টি থেমেছে অল্পেই। 

ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবারের (২৪ আগস্ট) হলেও নেট দুনিয়ায় আলোচনায় এসেছে রোববার সকালে। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় ইউএস ওপেন কাপের সেমিফাইনালে জয়ের পর দলের বিজয় উদযাপনে যোগ দিতে সন্তানদের নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন মেসির স্ত্রী রোকুজ্জে। এরপর আলবাকে দেখে সৌজন্য বিনিময় করতে এগিয়ে আসেন রোকুজ্জো। 

পশ্চিমা বিশ্বের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই এগোচ্ছিলেন রোকুজ্জে। বার্সেলোনায় মেসির দীর্ঘদিনের সতীর্থ থাকায় আগে থেকেই আলবার ভালো সম্পর্ক ছিল তার। আলবাকে আলিঙ্গন করতে হাত বাড়িয়ে এগিয়ে যান রোকুজ্জে। আলবাও এগিয়ে আসেন। কিন্তু আলিঙ্গনের আগে একটু বেশিই ঝুঁকে পড়েন তার দিকে। রোকুজ্জেও অবশ্য কিছুটা উচ্ছ্বাসিত ছিলেন। অবশ্য শেষ মুহূর্তে দুজনেই সতর্ক থেকে সরে আসেন। 

উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ফাইনালের মঞ্চে স্পেনের নাম্বার টেন হেনিফার হেরমোসোকে চুমু দেন দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি রুবিয়ালেস। এরপর থেকেই চুমু নিয়ে বিতর্কে ভাসছে স্পেনের ফুটবল। 

জেএ