আগের মৌসুমেও ফরাসি লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে। কিন্তু এরপরই দলবদল নিয়ে তার সঙ্গে পিএসজির নাটকীয়তা শুরু। শেষ পর্যন্ত সেসব ছাপিয়ে ক্লাবেই আরও এক মৌসুম থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমবাপে। এরপর আগের ম্যাচে তাকে বিরতির পর বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামান কোচ লুইস এনরিকে। ম্যাচটিও শেষ হয় ১-১ সমতায়। সেই ভুল আর করেননি এই স্প্যানিশ কোচ। আর তাতেই আবারও শুরু এমবাপে ম্যাজিক, তার জোড়া গোলে পিএসজিও বড় জয় পেয়েছে।

শনিবার (২৬ আগস্ট) ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে লেন্সকে আতিথ্য দিয়েছিল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। ৩-১ ব্যবধানের জয়ে এমবাপে ছাড়াও গোল পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ থেকে পিএসজিতে যোগ দেওয়া মার্কো অ্যাসেনসিও। চলতি মৌসুমে তিন খেলায় এটি প্যারিসের ক্লাবের প্রথম জয়।

তবে একদমই খারাপ খেলেনি সফরকারী লেন্স। যদিও তারা ঠিক জালের দেখা পাচ্ছিল না। অবশ্য এমবাপেও দুটি সুযোগ নষ্ট করেছেন। প্রথমে গোলমুখের সামনে থেকে বল ফিরিয়ে দেন লাস ডিফেন্ডার কেভিন ডানসো, পরেরটি ঠেকান লেন্স গোলরক্ষক ব্রিস সাম্বা। সে কারণে জালের দেখা পেতে পিএসজিকে প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ওয়ারেন জায়ের-এমেরির পাস থেকে দারুণ এক শটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড অ্যাসেনসিও। ফলে ১-০ লিড নিয়ে এনরিকের দল বিরতিতে যায়।

আরও পড়ুন >> হাকিমি ছাড়া আর কারও ভোট পাননি এমবাপে

দ্বিতীয়ার্ধে নেমে আরও আধিপত্য দেখায় পিএসজি। যার ধারাবাহিকতায় তারা লিড দ্বিগুণ করে ৫২ মিনিটে। লুকাস হারনান্দেজের সঙ্গে দারুণ ওয়ান-টু খেলে প্রায় ১০ গজ দূর থেকে বুলেটগতির এক শটে ব্যবধান বাড়ান এমবাপে। পিএসজির হয়ে ফরাসি লিগ আঁ-তে এটি এমবাপ্পের ১৫০তম গোল। পরে অবশ্য তার পা থেকে আরও একটি গোল এসেছে। চেনা এমবাপেকে পেয়ে হাসি ফুটেছে পিএসজি চেয়ারম্যান নাসের আল খেলাইফির মুখে। গ্যালারির ভিআইপি বক্স থেকে তিনি ক্যামেরাবন্দী হন।

তখন লেন্সের হার অনেকটা নিশ্চিত ছিল। তবে যোগ করা সময়ের শুরুতেই আবারও এমবাপের আঘাত। যা প্রতিপক্ষের সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে তোলে। শেষ বাঁশি বাজার আগমুহূর্তে গোল পেয়েছে সফরকারীরাও। দলটির জন্য মরগান গুইলাভোগুই একটা সান্ত্বনার গোল এনে দেন।

 

গত মৌসুমের রানার্স-আপ লেন্স এই মৌসুমে এখনও জয়হীন, দুটি হারের সঙ্গে একটি ড্র। তবে পিএসজি আগের দুটি ড্রয়ের পর এবার একটি জয় পেয়েছে। 

এএইচএস