ফাইল ছবি

দেশের শীর্ষ তিন খেলা ফুটবল, ক্রিকেট ও হকি। ক্রিকেটে ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক লিগে ক্রিকেটাররা নিলামে উঠেছেন বেশ কয়েক বছর আগেই। গত বছর ফ্রাঞ্চাইজি হকিতেও নিলাম হয়েছিল। আগামীকাল (২৬ আগস্ট) দেশের ফুটবলে শুরু হচ্ছে নিলাম অধ্যায়। 

তবে ক্রিকেট ও হকির সঙ্গে ফুটবলের নিলামে পার্থক্য রয়েছে। ক্রিকেট ও হকিতে ফ্রাঞ্চাইজি লিগের জন্য নিলাম হয়েছে আর ফুটবলে নিলাম হচ্ছে বাফুফের একাডেমী খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লিগে বন্টনের জন্য। দেশের শীর্ষ ফুটবলাররা নন, একেবারে তৃণমূলের ফুটবলারদের নিলামে তুলছে বাফুফে। আগামীকাল বিকেলে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। 

বাফুফের এলিট একাডেমীর ফুটবলারদের দলে ভেড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ক্লাবগুলো। সেই আগ্রহের ভিত্তিতেই বাফুফে সর্বোচ্চ অর্থ প্রদানকারী ক্লাবকে খেলোয়াড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই প্রেক্ষিতে নিলাম নিয়ে কাজ শুরু করে বাফুফে। বাফুফের একাডেমীতে ৬০-এর অধিক খেলোয়াড় থাকলেও বয়স, পারফরম্যান্স, চাহিদা—এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে শেষ পর্যন্ত মাত্র ১০ জনকে নিলামে তুলছে। এসব ফুটবলারের মধ্যে ছয় জনের প্রাথমিক মূল্য ৫ লাখ, বাকি চার জনের ৪ লাখ টাকা। বিক্রিত মূল্যের প্রাপ্ত অর্থ ফেডারেশন এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে ভাগাভাগি হবে।

আরও পড়ুন >> জামালের বদলি ফুটবলার চায় বাফুফে

একাডেমীর অনেক ফুটবলারেরই বয়স ১৬ বছরের নিচে। ১৬ বছর না হলে পেশাদার লিগে চুক্তি করা যায় না, এজন্য একাডেমীর অনেক ফুটবলারকে নিলামে উঠাতে পারছে না বাফুফে। মাত্র দশ জন ফুটবলার হওয়ায় ক্লাবগুলোর মধ্যে এখন তেমন বাড়তি কাড়াকাড়ি বা উন্মাদনা নেই। ফলে অনেক ক্লাব নিলামে অংশগ্রহণও করবে না।

বাফুফের অনেক কাজই সমালোচনার সৃষ্টি করে। বাফুফের নিলাম করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। প্রথমবারের মতো এই নিলাম কেমন হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়। 

নিলামে উঠছেন যারা :

প্রাথমিক মূল্য ৫ লাখ

গোলরক্ষক : মো. আসিফ

সেন্টার ব্যাক : আজিজুল হক অনন্ত

মিডফিল্ডার : সাজেদ হাসান ও চন্দর রায়

ফরোয়ার্ড : মিরাজুল ইসলাম ও আসাদুল মোল্লা।

প্রাথমিক মূল্য ৪ লাখ

ডিফেন্ডার : সিরাজুল ইসলাম রানা, রুবেল শেখ ও ইমরান খান

ফরোয়ার্ড : সুমন সরেন।

এজেড/এএইচএস