ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের বড় আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে বড় নাম সম্ভবত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সবচেয়ে বেশি গোল, অ্যাসিস্ট, পাঁচবারের শিরোপা, এমন আরও বেশকিছু রেকর্ডেই জড়িয়ে আছে তার নাম। আর সেই রোনালদো কিনা আল-নাসরের জার্সিতে মিস করতে বসেছিলেন এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য দুর্ঘটনা হয়নি। শেষদিকের অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য কোয়ালিফাই করেছে সৌদি ক্লাব আল-নাসর। পিছিয়ে পড়া ম্যাচের শেষ ৯ মিনিটে ৩ গোল করে প্লে-অফের বাধা টপকেছে রোনালদো-সাদিও মানেরা। আমিরাতের ক্লাব শাবাব আল-আহলির বিপক্ষে তাদের জয় এসেছে ৪-২ গোলে।  

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরুতে অবশ্য এগিয়ে ছিল রোনালদোরাই। ম্যাচের শুরু থেকেই এদিন ছন্দে ছিলেন ৩৮ বছরের রোনালদো। ১০ মিনিটের মাথায় স্কোরশিটে নাম লেখাতে পারতেন। তবে সেটা আর হয়নি। তবে পর্তুগিজ তারকা না পারলেও তার দল ঠিকই এগিয়ে যায় পরের মিনিটে। গোল করেন দলের ব্রাজিলিয়ান তারকা অ্যান্ডারসন তালিসকা। ব্রজোভিচের কর্নার থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।   

তবে লিড তারা ধরে রেখেছিল কেবল ৭ মিনিট। ম্যাচের ১৮ মিনিটের মাথায় ম্যাচে সমতা ফেরে শাবাব আল-আহলি। দলের হয়ে গোল করেন ইয়াহিয়া আল-ঘাসানি। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে অবশ্য দুই দলই চেষ্টা করেছে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার। তবে বল পায়ে আধিপত্য ছিল আল-নাসরের। একসময় পেনাল্টির সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল, তবে তাতে সাড়া দেননি রেফারি। 

বিরতির পরেই যেন ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আল-নাসর। দারুণ ফিনিশিংয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করে আমিরাতের ক্লাবটিকে এগিয়ে দেন আল ঘাসানি। একটু পরেই অবশ্য ম্যাচে ফেরার সুযোগ ছিল আল-নাসরের। এবার গোলমিসের খাতায় নাম লেখালেন তালিসকা। 

তবে ৬২ মিনিটে গিসলাইন কোনানের নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে চাপে পড়ে যায় সৌদি ক্লাবটি। তবে চাপের মুখেই যেন আরও বেশি উজ্জ্বল হলো আল-নাসর। শেষ পর্যন্ত দলটি আলোর মুখ দেখে ম্যাচে ম্যাচের ৮৮ মিনিটে। সুলতান আল ঘানামের গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে আল নাসর।

এরপর যোগ করা সময়ে আবারও চমক আল নাসরের। আরও একবার হেডে গোল করে রিয়াদের ক্লাবটিকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তালিসকা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে নিজেদের চতুর্থটিও পেয়ে যায় আল নাসর। এবার রোনালদোর সহায়তায় গোল করেন ব্রজোভিচ। শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানের জয়েই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূল পর্ব নিশ্চিত করে আল নাসর।

জেএ