আগের মৌসুমে বেশ কষ্টসাধ্য যাত্রা ছিল লিভারপুলের। শুরু থেকে শোচনীয় অবস্থানে থাকা দলটি শেষ পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগের শেষ চারে থাকার সম্ভাবনা জাগায়। যদিও শেষ পর্যন্ত আর নতুন মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকিট কাটা হয়নি ইয়ুর্গেন ক্লপের দলটির। এই মৌসুমের যাত্রাটাও চেলসির বিপক্ষে ড্র দিয়ে শুরু করে অলরেডরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে তারা জয়ের ধারায় ফিরেছে। মোহাম্মদ সালাহ’র গোলে ৩-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে লিভারপুল।

এদিন (শনিবার) ম্যাচের শুরুতেই অবশ্য গোল হজম করেছিলেন সালাহরা। লিভারপুল ডিফেন্ডার ট্রেন্ট আলেক্সন্ডার আরনল্ডের ভুলে ৩ মিনিটে বোর্নমাউথকে এগিয়ে দেন সিমিনিও। শেষে অবশ্য আরনল্ডের এই ভুল ক্ষতির কারণ হতে দেননি তার সতীর্থরা। সালাহ-দিয়াজরা প্রিমিয়ার লিগে দলের হয়ে আরনল্ডের ২০০তম ম্যাচের মাইলফলক রাঙিয়ে দিয়েছেন।

শুরুতে পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে লিভারপুলের আক্রমণভাগ। তবে বোর্নমাউথের গোলরক্ষক নেতো ও ক্রসবারের কারণে সমতায় ফিরতে ২৭ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাদের। জোতার সহায়তায় দলকে সমতায় ফেরান দিয়াজ। ৯ মিনিট পরেই দলকে এগিয়ে দেন সালাহ। পেনাল্টিতে পাওয়া গোলটির শট অবশ্য ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক। কিন্তু মিশরীয় ফরোয়ার্ড ফিরতি বল জালে পাঠিয়ে নিজের আক্ষেপ ঘোচান। 

লিভারপুলের হয়ে এটি তার ১৮৭তম গোল। ফলে অলরেডদের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এককভাবে পাঁচে উঠে এসেছেন সালাহ। ১৮৬ গোলে এতদিন তার সঙ্গে যৌথভাবে পাঁচে ছিলেন স্টিভেন জেরার্ড। কিংবদন্তি ইয়ান রাশ ৩৪৬ গোল নিয়ে সবার শীর্ষে আছেন। এরপর আর কোনো গোল না হলে ২–১ ব্যবধানে বিরতিতে যায় দুই দল। 

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় লিভারপুল। ৫৮ মিনিটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। চলতি মৌসুমেই ব্রাইটন ছেড়ে আসা এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার লিভারপুল অধ্যায় শুরু করেছেন। তবে একজন কম নিয়ে খেলা লিভারপুলকে তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেনি বোর্নমাউথ।

উল্টো ৬২ মিনিটেই তৃতীয় গোল হজম করে তারা। অল রেডদের হয়ে তৃতীয় ও শেষ গোলটি করেন জোতা। পর্তুগিজ স্ট্রাইকারের গোলের মধ্যে দিয়ে যেন একটা চক্রও পূরণ হয় লিভারপুলের। আক্রমণভাগের তিন খেলোয়াড়ই গোল পেয়েছেন। এরপর বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ক্লপের শিষ্যরা।

এএইচএস