এই তো মাত্র দেড় মাস আগে নতুন ঠিকানায় পাড়ি দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু কেউ কি জানতো অল্প সময়ের ব্যবধানে এমন এক দলকে তিনি ফাইনালে নিয়ে যাবেন, যারা ধারাবাহিক পরাজয় নিয়ে আমেরিকান মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) তলানিতে অবস্থান করছিল? এরপর টানা সাত ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়ে লিগস কাপে চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মায়ামি। প্রতিটি ম্যাচেই গোল করা মেসি টুর্নামেন্টসেরা এবং মূল্যবান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন।

মায়ামির গোলাপী জার্সির রঙ যেন আরও বেড়ে গেছে মেসির ছোঁয়ায়! শেষ সাত ম্যাচে তিনি করেছেন ১০ গোল এবং একটি অ্যাসিস্ট। ন্যাশভিলের বিপক্ষে লিগস কাপের ফাইনাল ম্যাচেও দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর। যদিও ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায় এবং সেখানে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পর শিরোপা উৎসব করে মায়ামি।

একদিকে পুরো দল মেতেছে শিরোপার আনন্দে, তার আগে মেসির আনন্দ দ্বিগুণ করে আসে আসরসেরার পুরস্কার। এটি পেয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ১০ গোল করার সুবাধে। কেবল তাই নয় মায়ামি অধিনায়ক সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের খেতাবও পেয়েছেন।

আরও পড়ুন >> শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে মেসিদের ইতিহাস

২০১৮ সালে আমেরিকান ফুটবলে যাত্রা শুরু হয় ডেভিড বেকহামের ইন্টার মায়ামির। যদিও সাবেক এই ইংল্যান্ড কিংবদন্তি ক্লাবটির সহ-মালিক। তবে ফুটবলের বড় পোস্টার তো তিনিই। দীর্ঘ কয়েক বছরের পরিকল্পনায় তিনি মেসিকে তার ডেরায় ভিড়িয়েছেন। আর্জেন্টাইন মহাতারকার কেন এত তোড়জোড় চালিয়েছিলেন তিনি, সেটি তাদের প্রথম শিরোপার দৃশ্যেই প্রমাণ পাওয়া যায়।

আজ (রোববার) ন্যাশভিলের ঘরের মাঠ জিওডিস পার্ক স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো ইতিহাস গড়তে নেমেছিল ‍দুই দল। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে ডি-বক্সের সামনে থেকে বাঁ-পায়ের দারুণ শটে মায়ামিকে লিড এনে দিয়েছিলেন মেসি। সেই গোল ৫৭ মিনিটে শোধ করেন ন্যাশভিলের ফাফা পিকাল্ট। নির্ধারিত সময় শেষে ১-১ গোলে সমতার পর ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়। এরপর শ্বাসরুদ্ধকর ৯টি শটে দুই দলই ৮ বার করে জালে দেখা পায়। শেষে দুই গোলরক্ষকের শ্যুট আউটের পরীক্ষায় পাশ করে মায়ামি।

এএইচএস