অবিশ্বাস্য ও দারুণ কিছু দিন পার করে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে ইন্টার মায়ামি। অথচ এমএলএসের তলানিতে থাকা ক্লাবটি কিভাবে জয়ের বৃত্তে ফিরবে সেটা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। টানা ১১ ম্যাচ পরাজয়ের পর লিওনেল মেসির ছোঁয়া পেতেই সম্পূর্ণ বদলে যায় মায়ামি। এরপর টানা ৬ ম্যাচে জয় এবং তার ফল হিসেবে লিগস কাপের ফাইনালে পা রাখা। এখন শিরোপা তাদের হাতে না উঠলেই বরং অস্বাভাবিক মনে হতে পারে!

আগামীকাল (রোববার) সকাল ৭টায় (বাংলাদেশ সময়) ফাইনালে মায়ামি মোকাবিলা করবে ন্যাশভিলের। মেসির মায়ামি অধ্যায় শুরুর পর থেকেই দারুণ উন্মাদনায় ভাসছেন ক্লাবটির সমর্থকরা। সেই ধারাবাহিকতা তাদের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। সে কারণে তুমুল চাহিদাপূর্ণ ম্যাচটির টিকিটের দামেও যেন আগুন লেগেছে! বাংলাদেশি মূল্যে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ লাখ টাকার কিছু বেশি অঙ্কে পৌঁছে গেছে টিকিটের দাম।

অথচ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ন্যাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্ক স্টেডিয়ামে। ওই মাঠে ন্যাশভিলে পরের ম্যাচ খেলবে শার্লটের বিপক্ষে। তবে সেই ম্যাচটিতে টিকিটের সর্বোচ্চ দামই ৪১ হাজারের মতো। এর আগেও অবশ্য মায়ামির অ্যাওয়ে ম্যাচের টিকিট নিয়ে একইরকম চাহিদা ছিল। গত ৬ আগস্ট ডালাসের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল ইন্টার মায়ামির। সেই ম্যাচেও ব্যাপক দাম থাক সত্ত্বেও মাত্র ১০ মিনিটেই সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়।

আরও পড়ুন >> ‘জানতাম, মেসি আসলে আমি থাকতে পারব না’

টিকিটমাস্টার ইন্টারটেইনমেন্ট নামের এক কোম্পানি ন্যাশভিলের সব ম্যাচেরই টিকিট অনলাইনে বিক্রি করছে। তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ফাইনালের টিকিটের সর্বনিম্ন দাম ৪৬০ ডলার (৫০ হাজার টাকা)। আর সর্বোচ্চ মূল্যের টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ১১ হাজার ৯০০ ডলার (১৩ লাখ টাকার কিছু বেশি)। ভিআইপি দামের এই টিকিট নিয়ে মেসিদের ডাগআউটের ঠিক পেছনে বসেই খেলা দেখা যাবে।

কালকের ফাইনাল ম্যাচটি জিওডিস স্টেডিয়ামে বসে দেখতে পারবেন ৩০ হাজার দর্শক। ইতোমধ্যে ম্যাচের সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে। কেবল মায়ামিই নয়, প্রথম শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় আছে স্বাগতিক ন্যাশভিলেও।

আরও পড়ুন >> ব্যালন ডি’অর নিয়ে মাথাব্যথা নেই মেসির

সর্বশেষ ৬ ম্যাচে মেসি ৯টি গোল করেছেন, পাশাপাশি রয়েছে একটি অ্যাসিস্টও। এছাড়া দুবার পেনাল্টির সুযোগ পেয়েও সতীর্থের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তার উপস্থিতিই দলের পরিবেশ বদলে দিয়েছে, যেটি মায়ামির কোচ ও ফুটবলাররাও বারবারই বলে আসছেন। সেই সঙ্গে বার্সেলোনার সাবেক দুই সতীর্থ সার্জিও বুসকেটস ও জর্দি আলবাকে পেয়েও যেন পুরনো ঘরে পরিণত হয়েছে মায়ামি। সবমিলিয়ে ফ্লোরিডার ক্লাবটিতে স্বস্তিতে থাকা এক নির্ভার মেসিরই দেখা পাচ্ছেন ফুটবলভক্তরা। লিগস কাপের শিরোপা জয় তাদের সেই উচ্ছ্বাসকে নিঃসন্দেহে আরও বাড়িয়ে দেবে।

এএইচএস