লিওনেল মেসিকে আনার জন্য বেশ আটঘাট বেঁধেই নেমেছিল বার্সেলোনা। এ কারণে চলতি গ্রীষ্মের দলবদল শুরু হতেই তারা বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে অবশ্য মেসি পিএসজি ছেড়ে যোগ দেন আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। ফলে আরও কয়েকজন বিক্রির তালিকায় থাকলেও কাতালান ক্লাবটি তাদের ছাড়েনি। কিন্তু নতুন করে ক্লাবটি ছাড়তে চান তরুণ ফরোয়ার্ড আনসু ফাতি। এই স্প্যানিশ উইঙ্গারের প্রতি তেমন আস্থা নেই কোচ জাভি হার্নান্দেজের। তাই ফাতিও আর থাকতে চান না বার্সায়।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ২০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড তার এজেন্টকে সম্ভাব্য ক্লাব খুঁজতে বলেছেন। সেই তালিকায় বেশ কয়েকটি ইংলিশ ক্লাবের নাম শোনা যাচ্ছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল আর টটেনহাম ফাতিকে নিতে চায় বলে জানিয়েছে ইংলিশ মিডিয়া। যদিও এই ফুটবলার এখনও তার পরবর্তী ঠিকানা চূড়ান্ত করেননি। ফাতির পছন্দের সম্ভাব্য তালিকায় বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদও আছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

এ নিয়ে জাভির কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি হেসে ওঠেন। একইসঙ্গে ফাতি বার্সেলোনার ‘গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়’ বলেও উল্লেখ করেন এই কোচ। জাভি বলেন, ‘(রিয়ালের প্রসঙ্গ ওঠায়) এটি নিশ্চয়ই কোন কৌতুক। আমি আগে থেকেই আনসুর ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম। কিন্তু তাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরির কোনো মানে হয় না। সে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ও আমাদের ক্লাব ঐতিহ্যের অংশ, এখন এবং ভবিষতেও।’

মৌসুমের প্রথম ম্যাচে গেটাফের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল বার্সেলোনা। ওই ম্যাচে শেষ ১১ মিনিটের জন্য ফাতিকে মাঠে নামিয়েছিলেন জাভি। কেবল তাই নয়, ২০২২–২৩ মৌসুমের লা লিগায় শুরুর একাদশে ফাতি জায়গা পান মাত্র ১২ ম্যাচে, বাকি ২৪ ম্যাচে সুযোগ হয় বদলি হিসেবে। পুরো মৌসুমে লিগে ৯০ মিনিট মাঠে ছিলেন মাত্র এক ম্যাচে।

নতুন মৌসুমেও যে ফাতির ম্যাচ–টাইম পাওয়া কঠিন হবে, সেই ইঙ্গিত গত জুনে মুন্দো দেপোর্তিবোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেই দেন জাভি, ‘কী ঘটে দেখা যাক। আমি যে ধরনের ফুটবলার পছন্দ করি, সে তেমনই। এটাও ঠিক যে কয়েকটি চোটের কারণে খুব কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে এসেছে সে। তবে ওর নিয়মিত সুযোগ পাওয়ার নিশ্চয়তা আমি দিতে পারছি না। এটা বার্সেলোনা, এনজিও নয়।’

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস জানিয়েছে, কোচের প্রকাশ্য ‘অনাস্থা’র পরও বার্সেলোনায় থেকে যেতে চেয়েছিলেন ফাতি। তার লক্ষ্য ছিল নিজেকে প্রমাণ করে সেই আস্থা ফিরিয়ে আনা। তবে প্রাক–মৌসুম এবং নতুন মৌসুমে লিগের প্রথম ম্যাচে যথেষ্ট ম্যাচ–টাইম না পাওয়ার পর ফাতির মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে।

এএইচএস