এক সপ্তাহের মধ্যেই দুইবার চেলসির কাছে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত খেলোয়াড়কে হারিয়েছে লিভারপুল। ব্রাইটন থেকে ময়সেস কেইসেডোকে দলে ভেড়ানোর কাছাকাছি ছিল অলরেডরা। এমনকি ব্রাইটনের ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও চুক্তিও সেরে নিয়েছিল তারা। কিন্তু কেইসেডো খেলতে চেয়েছেন চেলসির জার্সিতেই। সপ্তাহ না ঘুরতেই সাউদাম্পটন থেকে রোমিও লাভিয়াকে ছিনিয়ে নেয় ব্লুজরা। 

তবে, লিভারপুল তাতে দমে যায়নি। আকস্মিক দলবদলে জাপানের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ওয়াতারু এন্দোকে নিজেদের করে নিয়েছে মার্সিসাইডের ক্লাবটি। জার্মান ক্লাব স্টুটগার্ড থেকে ১৬ মিলিয়ন ইউরোতে জাপানের এই মিডফিল্ডারকে কিনে নিচ্ছেন ইউর্গেন ক্লপ। ত্রিশ বছর বয়েসী এই মিডফিল্ডার ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড ছাড়াই সেন্ট্রাল মিডেও বেশ কার্যকরী। 

মৌসুমের শুরুতে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ফাবিনহো দল ছেড়ে যাবার পরেই তার বিকল্প খোজায় মন দিয়েছিলেন লিভারপুল বস ইউর্গেন ক্লপ। ফ্রান্সের খেফ্রেন থুরাম, বেলজিয়ামের রোমিও লাভিয়া এবং ইকুয়েডরের ময়সেস কেইসেডোর দিকে নজর ছিল তার। যদিও শেষ পর্যন্ত কাউকেই পাওয়া হয়নি লিভারপুলের। 

শেষ পর্যন্ত জাপানের ওয়াতারু এন্দোকেই নিজেদের দলে পাচ্ছে ১৯ বারের ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। স্টুটগার্ডের অধিনায়ক এন্দো রক্ষণের পাশাপাশি গোল করতে কিংবা করাতেও বেশ পারদর্শী। রক্ষণে মনোযোগী হলেও স্টুটগার্ডের জার্সিতে করেছেন ১৪ গোল। ২০২২-২৩ মৌসুমে জার্মান ক্লাবটির হয়ে ৪০ ম্যাচে ৬ গোল এবং ৫ অ্যাসিস্ট করেছেন এই জাপানিজ তারকা। 

আরও পড়ুন: রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে চেলসিতে কাইসেদো

বিশ্বকাপেও জার্মানির বিপক্ষে জাপানের ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচেও বড় ভূমিকা রেখেছেন এন্দো। ত্রিশ বছরের এই তারকা এখন লিভারপুলের জার্সিতে কেমন করেন, সেটাই দেখবার অপেক্ষা। ধারণা করা হচ্ছে, লিগের পরের ম্যাচেই এই মিডফিল্ডারকে মাঠে নামাবেন ইউর্গেন ক্লপ। 

লিভারপুলের জার্সিতে জাপানের সবশেষ খেলোয়াড় ছিলেন তাকুমি মিনামিনো। বেশ শোরগোল ফেলেই তাকে দলে টেনেছিল ক্লাবটি। যদিও শেষ পর্যন্ত অলরেড শিবিরে খুব বেশি কিছু করে দেখাতে পারেননি এই জাপানি ফরোয়ার্ড। ধারে অন্য ক্লাবেও পাঠানো হয়েছিল তাকে। শেষপর্যন্ত ফ্রেঞ্চ লিগের ক্লাব মোনাকোর কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল মিনামিনোকে। 

জেএ