নারী বিশ্বকাপ ফুটবল
স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে ফাইনালে ইংল্যান্ড
ফুটবলে সুদিন পার করছে ইংল্যান্ডের মেয়েরা । ২০২২ সালেই জার্মানিকে হারিয়ে জিতেছে নিয়েছে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব। নারীদের ইউরো জয় করে আসা এই দলটিই এবার লিখলো আরেক ইতিহাস। প্রথমবারের মত নারীদের বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়েছে ইংলিশ নারীরা। সেমিফাইনালে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে সারিনা ওয়েগম্যানের শিষ্যরা।
সিডনির স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়াতে ঘরের মাঠের পূর্ণ সমর্থন নিয়েই নেমেছিল স্যাম কার-ম্যাকেঞ্জি আর্নল্ডরা। নিজেদের মাঠে শুরুটাও ছিল ভাল। অন্তত ম্যাচের ৭০ মিনিট পর্যন্ত ইংল্যান্ডকে চাপের মুখে রেখেছিল তারা। কিন্তু শেষ বিশ মিনিটেই যেন নিজেদের বদলে ফেলে ইংলিশ মেয়েরা। ১৫ মিনিটে দুই গোল করে অজিদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় তারা।
বিজ্ঞাপন
— Lionesses (@Lionesses) August 16, 2023
সিডনিতে দুই দলের শুরুটা ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে। প্রথম পনের মিনিটে বলার মত সুযোগ করতে পারেনি কেউই। ১৮ মিনিটে ইংলিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ইলা টনির শট সাইড নেটে না লাগলে হয়ত এগিয়ে যেতে পারত ইংল্যান্ড। তবে তার আক্ষেপ বেশি বড় হয়নি। ৩৬ মিনিটেই গোলের দেখা পান টনি। অ্যালিসিয়া রুশোর পাস থেকে নিখুঁত ফিনিশে দলকে এগিয়ে দেন তিনি (১-০)। এক গোলে এগিয়ে থেকে টানেলে ফেরে ইংল্যান্ড।
বিরতির পর থেকেই অবশ্য ইংলিশ রক্ষণে আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করে স্যাম কার-ক্যাটরিয়া গোরিরা। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টা করেছিল অজিরা। তাতে সফলতা আসেনি খুব একটা।
অবশ্য অস্ট্রেলিয়া পরে ম্যাচে ফিরেছে। তাও অধিনায়ক স্যাম কারের কল্যাণে। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে এককভাবেই এগিয়ে গিয়েছেন। এরপর ডিবক্সের বাইরে থেকে করেছেন টুর্নামেন্টের অন্যতম দর্শনীয় গোল। ৬৩ মিনিটের সেই গোল আশা দেখাচ্ছিল স্বাগতিকদের।
এরপরেই অবশ্য নড়ে বসে ইংলিশ মেয়েরা। আক্রমণের ধার বাড়ানোর সুফলও এসেছে হাতেনাতে। ম্যানসিটি নারী দলের লরেন হ্যাম্প ম্যাচে ফেরান ইংল্যান্ডকে। অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণের ভুলে এগিয়ে যায় থ্রি লায়োনিসরা। এগিয়ে আসা অজি গোলরক্ষক ম্যাকেঞ্জিকে সহজ শটে পরাস্ত করেন হ্যাম্প (২-১)।
স্বাগতিকদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছেন আরেক ফরোয়ার্ড অ্যালিসিয়া রুশ। ৮৬ মিনিটে লরেন হ্যাম্পের পাস থেকে কোণাকুণি শটে অজি গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্সেনালের এই তারকা (৩-১)।
ফাইনালে ২০ আগস্ট স্পেনের মুখোমুখি হবে ইংলিশ নারীরা। এর আগে দুই দলের কেউই বিশ্বকাপ শিরোপার দেখা পায়নি। সিডনির ফাইনাল তাই ফুটবল বিশ্বকে উপহার দিবে নতুন এক চ্যাম্পিয়ন দল।
জেএ