বাফুফে ভবনে তৃতীয় তলার কনফারেন্স রুমে একে একে জড়ো হন সাবিনা-সানজিদারা। সবার হাতেই চুক্তিপত্র। বাফুফের সঙ্গে নতুন করে ছয় মাসের চুক্তি করেছেন ৩১ জন ফুটবলার। সাবিনাদের দাবি ছিল মাসিক ৫০ হাজার টাকা করে বেতন। সেই দাবিও মেনে নিয়েছে বাফুফে।

৩১ জন ফুটবলারের মধ্যে ১৫ জন ৫০ হাজার, ১০ জন ৩০ হাজার, বাকি ছয় জন ১৫-২০ হাজারের মতো করে মাসিক বেতন পাবেন। আজ (বুধবার) বাফুফেতে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন খোদ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

গত কয়েক মাস ধরেই আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির দাবি করছিলেন সাবিনারা। আর্থিক সীমাবদ্ধতায় ফেডারেশন সেই দাবি পূরণ করেনি। এখন নারী খেলোয়াড়দের বেতন দ্বিগুণের বেশি করেছে ফেডারেশন। এই অর্থের যোগান সম্পর্কে ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের স্পন্সর ও ফিফা ফান্ড রয়েছে। সেখান থেকে এটা ম্যানেজ হবে। আমার সামর্থ্য থাকলে আরো বেশি দিতাম।’

সাবিনাদের দাবির প্রায় সবই পূরণ করেছেন বলে জানান বাফুফে সভাপতি, ‘ঈদ বোনাসটা দিতে পারিনি। ফুটবল বিশ্বে ঈদ, ক্রিসমাস বোনাস নাই। এছাড়া বেতন বৃদ্ধি, ম্যাচ খেলাসহ অন্যান্য সবই করা হয়েছে।’ সাবিনাদের প্রতি সালাউদ্দিনের প্রত্যাশা, ‘ওরা ভালো পারফরম্যান্স করুক। পারফরম্যান্স করে আরো পাঁচ গুণ দাবি করুক এটা আমি চাই। সেটা আমি না পারি, আরেকজন এসে দেবে।’

৩১ জন ফুটবলারের মধ্যে ১৫ জন ৫০ হাজার, ১০ জন ৩০ হাজার, বাকি ছয় জন ১৫-২০ হাজারের মতো করে মাসিক বেতন পাবেন।

বাফুফের এলিট একাডেমির ফুটবলার প্রিমিয়ার লিগে চুক্তি করলে ফেডারেশন একটি অংশ পায়। নারী ফুটবলারদের সারা বছরই লালন পালন করে ফেডারেশন। নারী ফুটবলাররা কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করলে সেখান থেকে অর্থ নিতে চান না বাফুফে সভাপতি, ‘পেশাদার দৃষ্টিতে নারীদের চুক্তি থেকে ফেডারেশনের অর্থ নেওয়া উচিত। কিন্তু আমরা সেটা নিতে চাই না। তারা নারী ফুটবলে প্রথম প্রজন্ম। তাদের আরো সহায়তা করা প্রয়োজন।’

ফেডারেশন দাবি মেনে নেওয়ায় সাবিনাদের মুখেও তৃপ্তির হাসি, ‘আমার এখানে কোনো বিষয় নয়, আমাদের। আমাদের আবদার পূরণ হওয়ায় খুশি।’ চুক্তির পর নারী ফুটবলাররা আরো ভালো পারফরম্যান্স করবেন এটাই প্রত্যাশা মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের, ‘এখন থেকে মেয়েরা আরো ভালো ফুটবল খেলবে এই বিশ্বাস করি।’

নারী ফুটবলাররা সম্প্রতি সাতক্ষীরায় লিগ খেলতে গিয়েছিলেন। তখন ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি না থাকায় কঠোর লাইনে যাচ্ছে না ফেডারেশন। আগামীতে অবশ্য এ রকম ঘটনা ঘটলে কোড অফ কন্ডাক্ট ভঙ্গের আওতায় পড়বেন। 

এজেড/এফআই