বার্সেলোনায় ফেরার গুঞ্জনকে মিথ্যে করে সৌদি ক্লাব আল-হিলালে নাম লিখিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র। বার্ষিক ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর বেতনে সৌদি ক্লাবটিতে নাম লেখাচ্ছেন তিনি। ক্যারিয়ারের মাঝপথে থাকা অবস্থায় ব্রাজিলিয়ান তারকাকে সৌদি ক্লাবে দেখে ভক্তদের অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে নেইমার নিজে উচ্ছ্বসিত নতুন এই যাত্রায়। জানালেন, এশিয়ার সেরা এই ক্লাবে নতুন ইতিহাস গড়তেই যোগ দিচ্ছেন তিনি। 

ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজি থেকে ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে দলবদল সেরেছেন নেইমার। সান্তোস, বার্সেলোনা, পিএসজি অধ্যায় শেষে এবার তার ঠিকানা সৌদি আরবের আল-হিলাল। চারবারের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা এই ক্লাবটিকে এশিয়ার অন্যতম সেরা হিসেবেই গণ্য করা হয়। নিজ দেশের লিগ পর্যায়েও ৮ বার শিরোপা জিতেছে আল-হিলাল। 

এমন এক ক্লাবে যোগ দিয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নেইমার, ‘ইউরোপে অনেক কিছু অর্জন করেছি, দারুণ কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছি। কিন্তু আমি সব সময়ই একজন বৈশ্বিক খেলোয়াড় হতে চেয়েছি, নতুন সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের সামনে নিজেকে পরীক্ষা করতে চেয়েছি। আমি ক্রীড়াজগতে নতুন এক ইতিহাস লেখার জন্য সৌদিতে যাচ্ছি। সৌদি প্রো লিগ কম শক্তিশালী নয়, আর সেখানে অনেক দারুণ ফুটবলাররা খেলছেন।’  

নিজের নতুন ক্লাবের স্তুতিও ঝরলো নেইমারের কণ্ঠে, ‘আল-হিলাল বড় একটি ক্লাব। তাদের সমর্থকরা দারুণ আর তারা এশিয়ার সেরা। এতেই আমার মনে হয়েছে আমি ঠিক সময়ে ঠিক ক্লাবে যোগদানের একেবারেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ 

নিজেকে এরইমাঝে আল-হিলালি বলেও ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন তিনি। ক্লাবের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে নেইমার বলেন, ‘আমি সৌদি আরবে আছি। আমি আল হিলালি।’ 

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সৌদি ক্লাবটির সঙ্গে নেইমারের চুক্তির মেয়াদ দুই মৌসুমের জন্য। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, ৯০ মিলিয়ন ইউরোর মূল চুক্তির সঙ্গে মোটা অঙ্কের বোনাস থাকছে ব্রাজিলিয়ান তারকার জন্য। ইন্সটাগ্রাম বা টুইটারে ক্লাবের হয়ে পোস্ট করলেও থাকবে বোনাস।  পিএসজিতে বছরে ২৫ মিলিয়ন ইউরো বেতন ছিল তার। আল-হিলালে সংখ্যাটা ১৫০ মিলিয়ন। 

এর সঙ্গে প্রাইভেট জেট, বান্ধবীর সঙ্গে নিজের মত থাকার অনুমতিসহ আরও বেশ কিছু সুবিধা পাচ্ছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই তারকা। নতুন ক্লাবে তাই উচ্ছ্বসিত থাকবেন নেইমার, এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিল। 

জেএ