ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে স্পেন
মেয়েদের বিশ্বকাপে সর্বশেষ ৯ আসরের পাঁচটিতেই সেমিফাইনালে উঠেছিল সুইডেন। শিরোপা অর্জনে সুইডিশ মেয়েরা আসরের শুরু থেকেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে আসছিল। চলমান বিশ্বকাপের শেষ চারে ওঠা দলগুলোর মধ্যে ফিফা র্যাংকিংয়েও তারা সবার ওপরে (তিন নম্বরে)। অন্যদিকে ৬ নম্বরে থাকা স্পেন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিতে পা রেখেছিল। এরপর ইতিহাস গড়ে টপ ফেভারিট সুইডেনকেই হারিয়ে দিল ২-১ গোলে। এর মাধ্যমে শিরোপা থেকে আর এক পা দূরে অবস্থান করছে স্প্যানিশ মেয়েরা।
আজ (মঙ্গলবার) নিউজিল্যান্ডের ইডেনপার্কে শেষ চারের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় স্পেন-সুইডেন। দুই দলই বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে প্রায় সমান দূরত্বে ছিল। যার কারণে সেমিতেই তাদের মুখোমুখি লড়াইটা হয়ে পড়ে অলিখিত ফাইনাল হিসেবে। তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ের পরও ম্যাচ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগপর্যন্ত কোনো দলই স্কোরবোর্ডে নাম তুলতে পারেনি। এরপর একের পর এক আক্রমণে অল্প সময়ের ব্যবধানে ৩ গোল দেখল ফুটবলভক্তরা।
বিজ্ঞাপন
ম্যাচের ডেডলক ভাঙা প্রথম গোলটি আসে ৮১তম মিনিটে। আগের ম্যাচের মতোই এবারও স্প্যানিশদের এগিয়ে দেন আসরে দেশটির সবচেয়ে কম বয়সী (১৯ বছর) ফুটবলার সালমা পারাউয়েলো। সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডস মেয়েদের হারানোর ম্যাচেও তিনি জয়নির্ধারণী গোল করেছিলেন। এগিয়ে গিয়েও সুস্থির ছিল না স্পেন। ৭ মিনিট পর রেবেকা ব্লমকভিস্টের গোলে সুইডেন সমতা আনে। মনে হচ্ছিল ম্যাচটি তাহলে গড়াতে যাচ্ছে টাইব্রেকারে!
কিন্তু সেই ভাবনায় ছেদ টেনে নির্ধারিত সময় শেষের এক মিনিট (৮৯) আগেই দুর্দান্ত এক গোলে আবারও এগিয়ে যায় স্পেন। রিয়াল মাদ্রিদের স্প্যানিশ লেফ্ট ব্যাক ওলগা কারমোনা ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে সুইডিশ গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পৌঁছান। এর মাধ্যমেই ফাইনালের মঞ্চ প্রস্তুত হয়ে যায় স্পেনের। কারণ এরপর সাত মিনিট অতিরিক্ত সময় পেলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি কোনো দলই। ফলে ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অ্যালেক্সিস পুতেয়াসের স্পেন।
এর আগে সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্রকে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় করে দিয়েছিল সুইডেন। ১৯৮৪ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের পর আর কোনো শিরোপা জিততে পারেনি দলটি। এবার শিরোপাখরা কাটানোর বড় সুযোগ ছিল সুইডেনের সামনে। তবে স্প্যানিশদের সামনে তাদের সেই আশাও গুড়েবালিতে রূপ নিল।
— ESPN FC (@ESPNFC) August 15, 2023
আগামী ২০ আগস্ট ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ আসরের। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের মোকাবিলা করবে স্পেন। অস্ট্রেলিয়া ও শিরোপার অন্যতম দাবিদার ইংল্যান্ড আগামীকাল (বুধবার) দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে।
এএইচএস