অবশেষে বড় রকমের নাটক শেষ করে সৌদি ক্লাব আল-হিলালে পাড়ি জমিয়েছেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র। আবার সেই একইদিনে ফ্রেঞ্চ তারকা কিলিয়ান এমবাপে জানিয়েছেন, ক্লাব ছেড়ে যাচ্ছেন না তিনি। তাকে ফুটবলের চিরায়ত গার্ড অব অনার দিয়ে বরণও করে নিয়েছে পিএসজি খেলোয়াড়রা। 

এমন দৃশ্য দেখেই কিনা নতুন করে প্রশ্ন জেগেছে, তবে কি নেইমারকে ক্লাবছাড়া করতেই এমবাপে এত নাটক করেছে। এমনটা হলেও অবশ্য অবাক হবার কিছু থাকছেনা। নেইমারের কার্যক্রম সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন। ইন্সটাগ্রামে এক পোস্টে লাইক দিয়ে বিতর্কটা উসকে দিয়েছেন স্বয়ং নেইমারই।   

ক্লাব ত্যাগের পরেই নেইমার তার ইন্সটাগ্রামের এক পোস্টে লাইক দিয়েছেন যেখানে উল্লেখ করা আছে, এমবাপে পিএসজিকে শর্ত দিয়েছেন, একই ক্লাবে তার (এমবাপে) এবং নেইমারের থাকা সম্ভব না। পুরাতন সেই পোস্টে লাইক দিয়ে নেইমার নিজেও যেন জানান দিলেন ফ্রেঞ্চ তারকার দলবদলের গুঞ্জন পুরোটাই ছিল নাটক। 

নেইমারের লাইক দেয়া সেই বিতর্কিত পোস্ট

মেসি ক্লাব ছেড়েছেন, নেইমারও এখন নেই। বলা চলে, প্যারিসের ক্লাবটির এখন সবচেয়ে বড় পোস্টারবয় এমবাপেই। ক্লাব প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফির সঙ্গে বৈঠকেও এমন আশ্বাসই পেয়েছেন ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এই তারকা। আর তারই সুবাদে থেকে যাচ্ছেন ফরাসি ক্লাবটিতে। 

সংবাদ মাধ্যম ফুট মার্কেতোর দাবি, পিএসজি প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ফ্রান্স স্ট্রাইকারের। এমনকি আরও একবছরের জন্য তিনি চুক্তি নবায়ন করতে সম্মত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: দুই বছরের চুক্তিতে আল হিলালে নেইমার!

তবে এই চুক্তির আগে নতুন শর্তও দিয়েছেন এমবাপে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত ঐচ্ছিক চুক্তির শর্তে তিনি সই করতে আগ্রহী। যদিও এজন্য চলতি মৌসুম শেষ করেই অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুনে তাকে ক্লাব ছাড়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে। পিএসজিও এই প্রস্তাবে রাজি। 

নতুন চুক্তি করায় চলতি মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্ট হবেন না এমবাপ্পে। তাকে মূল্য দিয়ে কিনতে হবে আগ্রহী ক্লাবকে। এমবাপে আগামী জুনেই ক্লাব ছাড়তে চান। আর তাকে কিনতে হলে বড় অঙ্কের অর্থই ছাড়তে হবে আগ্রহী ক্লাবকে।

নেইমার ক্লাব ত্যাগের পরেই এসব শর্তে রাজি হয়ে পিএসজিতে থেকে যাচ্ছেন এমবাপে। নেইমারও পুরাতন ইন্সটাগ্রাম পোস্টে লাইক দিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন। সবমিলিয়ে পিএসজি অবশ্য সন্তুষ্ট ফ্রেঞ্চম্যানকে ধরে রাখতে পেরে। তবে এক মৌসুম পরে আবারও এমবাপে ক্লাব ছাড়তে চাইলে সেই ঘটনা কোনদিকে যাবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। 

জেএ