লা লিগার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করার কথাই মাথায় ছিল বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজের। কিন্তু জয় তো এলোই না, উল্টো দুই লালকার্ড খেয়ে মৌসুম শুরু করেছে তার দল। যার মাঝে একটা লালকার্ড দেখেছেন তিনি নিজেই। পুরো ম্যাচে দেখানো হয়েছে তিন কার্ড। এমন এক ম্যাচে হেতাফের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্রতেই সন্তুষ্ট হতে হচ্ছে বার্সেলোনাকে। 

কোচ হিসেবে জাভির হতাশা অবশ্য লাল কার্ডেই থামছে না। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক সুযোগ মিস করেছেন তার দলের স্ট্রাইকাররা। তাতে গ্যালারিতে বসে থাকা এই স্প্যানিশ কোচের মুখভঙ্গিও বলছে অনেকবারই। এ নিয়ে টানা চার ম্যাচ হেতাফের মাঠে গোল করতে পারেনি বার্সেলোনা। 

শুরু থেকেই বার্সা খেলছিল নিজেদের স্বভাবসুলভ পাসিং ফুটবল। হেতাফেকে খুব একটা নিজেদের অর্ধে উঠে আসতে দেয়নি বার্সা। তবে, তাদের জমাট রক্ষ ভাঙতে পারেনি বার্সার তারকারা। প্রথমার্ধের শুরুতেই একাধিক সুযোগ পান রাফিনিয়া। কাজে লাগাতে পারেননি একটিও। সে কারণেই কিনা মেজাজ হারিয়ে হেতাফের গাস্তন আলভারেজকে কনুই মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হলো তাকে। 

১০ জনের বার্সেলোনার বিপক্ষে অবশ্য সুযোগ নিতে পারেনি হেতাফে। ৫৭ মিনিটে তারাও পরিণত হয় ১০ জনের দলে। বার্সা ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহোকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন হাইমে মাতা। 

একে গোল পাচ্ছেন না দলের স্ট্রাইকাররা। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। ৭০ মিনিটে বার্সেলোনার মরোক্কান উইঙ্গার আবদেসসামাদ এজ্জালজোওলিকে ফাউলের শিকার হওয়ার পরে সহকারী রেফারির সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন জাভি। এদফায় রেফারি লাল কার্ড দেখান বার্সেলোনা কোচকে। বাকি ম্যাচটা তাকে দেখতে হয় বক্সে বসে।

আর এতসব লালকার্ড আর ফাউলের ভিড়ে ফুটবল হারিয়েছে তার নিজস্ব রূপ। গোলের খেলা হলেও হেতাফে এবং বার্সেলোনার ম্যাচ শেষ হয়েছে গোলশূন্য অবস্থাতে। 

জেএ