শেখ রাসেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আবার অন্যদিকে আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের ক্লাব সোল দি মায়ো জামালকে অর্ভ্যথনা জানিয়ে পোস্ট দিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার দলবদল নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড জামাল ইস্যুতে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রদান করেছে। 

২০২২-২৩ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের খেলা শেষ হয়েছে ২২ জুলাই। সদ্য সমাপ্ত মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে ৩১ জুলাই। মৌসুম শেষ হওয়ার দিন দশেক আগেই শেখ রাসেল জামালকে পরবর্তী মৌসুমের জন্য চুক্তি করেছে, ‘সে আমাদের ক্লাবে পুনরায় খেলতে চেয়েছে। এজন্য আমাদের সঙ্গে ২০ জুলাই সে চুক্তি করেছে। সেই চুক্তির কাগজপত্র, ছবি সবই আমাদের কাছে রয়েছে’--বলেন ক্লাবটির কর্মকর্তা ফখরুদ্দিন।

২০২৩-২৪ মৌসুমের দলবদল শুরু হয়েছে ১ আগস্ট। পহেলা আগস্ট শুরু হলেও ক্লাবগুলো নতুন মৌসুমের খেলোয়াড় নিবন্ধন ফরম ২৩ জুলাই দিয়েছিল ফেডারেশন। লিগের ফরমে স্বাক্ষর ছাড়া অন্য কোনো চুক্তি বাফুফের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। শেখ রাসেলের কাছ থেকে অর্থ নিলেও লিগের ফরমে স্বাক্ষর নেই জামালের।

এ প্রসঙ্গে ক্লাবের কর্মকর্তা বলেন, ‘সে পারিবারিক কারণে ইউরোপ যাবে। এজন্য আমাদের সঙ্গে ২০ জুলাই চুক্তি করে। ইউরোপ থেকে ফিরে ফেডারেশনের ফরমে স্বাক্ষর করার কথা বলেছিলেন। আমরা তার কথাকে সম্মান করেছি।’

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ইউরোপ থেকে আর্জেন্টিনায় গিয়েছেন এমন ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। আর্জেন্টাইন মিডিয়ায় খবর হয়েছে জামাল আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগে খেলবেন। এই প্রসঙ্গে শেখ রাসেলের অবস্থান সম্পর্কে ক্লাবটির কর্মকর্তা বলেন, ‘অন্য সবার মতো আমরাও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দেখেছি। তার পক্ষ থেকে বা সেই ক্লাবের পক্ষ থেকে আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।’

এক দেশের খেলোয়াড় আরেক দেশের ঘরোয়া লিগে খেলতে হলে সেই খেলোয়েড়ের নিজ দেশের ফেডারেশনের ছাড়পত্র প্রয়োজন। আর্জেন্টিনার লিগে খেলতে হলে জামালকে বাফুফের ছাড়পত্র লাগবেই। আর্জেন্টিনার ক্লাব ছাড়পত্র চাইলে শেখ রাসেলের অবস্থান সম্পর্কে কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের সাথে সে চুক্তি করেছে এবং ওয়াদাবদ্ধ। এর ব্যত্যয় হলে সেটা নৈতিকতা বিবর্জিত হবে। ছাড়পত্র প্রদানের বিষয় আসলে তখন ক্লাবের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিচার-বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

জামাল গতকাল সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন তিনি কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করেননি। যদিও আর্জেন্টিনার ক্লাব সোল দি মায়ো জামালকে দলে ভেড়ানোর কথা জানিয়েছিল। তবে পোস্ট করার কিছুক্ষণ পর সেটি মুছে ফেলেছে ক্লাবটি। শেষ পর্যন্ত জামাল দেশের ভাবমূর্তি হুমকির মুখে ঠেলে দেন কি না সেই শঙ্কাও তৈরি হয়েছে। 

এজেড/এফআই