জামালদের স্পন্সর নেই অর্ধযুগ
বিশ্বের অনেক দেশেই জাতীয় ফুটবল দলের স্পন্সর হতে দৌড়ঝাপ করে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে অবশ্য তার ব্যতিক্রম। জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলে স্পন্সর নেই অর্ধযুগের বেশি সময়। দীর্ঘদিন স্পন্সর না থাকার পেছনে দলের ফলাফল ব্যর্থতার পাশাপাশি রয়েছে বাফুফের মার্কেটিং অদক্ষতাও।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের আমলেই জাতীয় দলের সঙ্গে ছিল নোকিয়া ও গ্রামীণফোনের মতো কোম্পানি। তারা জাতীয় দলের প্রায় সকল ব্যয়ই বহন করতো। ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে শুধু কিট স্পন্সর করেছিল লোটো। জাতীয় দলে কোনো প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় এটাই সর্বশেষ নজির। এরপর থেকে স্পন্সর ছাড়াই চলছে জামালদের ফুটবল।
বিজ্ঞাপন
২০১৯ সালে ভারতের সল্ট লেকে ১-১ গোলে ড্র করা স্কোয়াডকে বাংলাদেশের সেরা দল বলেছিলেন বাফুফে সভাপতি। সেই সেরা দলের মাধ্যমেও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানকে আকর্ষণ করাতে পারেনি বাফুফে। গত কয়েক বছরের মধ্যে সদ্য সমাপ্ত সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স সবচেয়ে ভালো হয়েছে। এরপরও জাতীয় দলের স্পন্সরশিপ নিয়ে এখনও কোনো আশাব্যঞ্জক কিছু শোনা যায়নি। আজ বাফুফে আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজ, মালদ্বীপের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই, সাফের জুনিয়র টুর্নামেন্টের জন্য স্পন্সর চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। যেখানে অ্যালকোহল এবং বেটিং কোম্পানি ছাড়া অন্য কোম্পানিগুলো জাতীয় ও জুনিয়র দলে পৃষ্ঠপোষক হতে বাধা নেই।
আরও পড়ুন >> আফগানদের সঙ্গে বাংলাদেশের ২ ম্যাচ
আগামী সেপ্টেম্বরে বাফুফের অনেক ব্যস্ত সূচি। এজন্য কয়েক কোটি টাকা ঘাটতির বিষয়ে প্রায় দুই মাস আগে সভাও করেছে ফেডারেশন। এর এতদিন পর বাফুফে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের নির্বাহী কমিটির একাধিক কর্মকর্তার কাঠগড়ায় মার্কেটিং বিভাগ, ‘মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ রয়েছেন কয়েকজন। তাদের দায়িত্ব স্পন্সর আনা, তারা যদি সেটা না পারেন তাহলে তাদের পেছনে এত অর্থ ব্যয় করে লাভ কি? সামনে বোর্ড সভায় এটি আলোচনা হতে পারে।’
বাংলাদেশের ফুটবলে সাফল্য ও জনপ্রিয়তা দুটোই কমতির দিকে। এর সঙ্গে বাফুফের অব্যবস্থাপনা ও স্পন্সরশিপ ঘাটতির অন্যতম কারণ বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। গত কয়েক বছর বাফুফে বসুন্ধরা গ্রুপের নির্ভরতায় বেঁচে রয়েছে। ঘরোয়া সকল লিগই এই কোম্পানি স্পন্সর করে। ২০১৬ সাল থেকে নারী দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ঢাকা ব্যাংক। ঘরোয়া অন্য সকল প্রতিযোগিতার সঙ্গে সম্প্রতি নারী দলেও সম্পৃক্ত হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এমনকি প্রতিষ্ঠানটি সাবিনাদের অলিম্পিক বাছাই খেলতে মিয়ানমারে পাঠানোর জন্যও এগিয়ে আসতে চেয়েছিল। তখন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের এক মন্তব্যে ফেডারেশন-বসুন্ধরার মধ্যে খানিকটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
এজেড/এএইচএস