বিশ্বকাপ ফুটবলে ছেলেদের চেয়ে জাপানের মেয়েরা অনেক বেশি ধারাবাহিক। যদিও ছেলেরা সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। তবে মেয়েরা যে ২০১১ বিশ্বকাপ আসরের চ্যাম্পিয়ন। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে চলমান নারী বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল র‌্যাংকিংয়ে জাপানের (১১তম) নিকটতম দেশ নরওয়ে (১২তম)। শেষ পর্যন্ত নরওয়েকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এশিয়ান দেশটি কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।

নরওয়েরও অতীত অভিজ্ঞতা খারাপ নয়। ১৯৯৫ বিশ্বকাপে তারা শিরোপা জিতেছিল। তবে এদিন (শনিবার) জাপানের সঙ্গে নরওয়ের মেয়েরা সমান লড়াই দেখাতে পারেনি। অনেকটা একপেশে ম্যাচের আগে থেকেই ফেবারিট ছিল জাপান। কারণ তারা গ্রুপপর্বের তিনটি ম্যাচেই জয় দিয়ে শেষ করেছিল।

ম্যাচের মাত্র ১৫তম মিনিটেই জাপান এগিয়ে যায়। তবে এতে বড় অবদান নরওয়ের ফুটবলার ইংরিড এনজেনের। তার আত্মঘাতি গোল জাপানকে লিড এনে দেয়। অবশ্য তাদের সেই উৎসব বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। ২০ মিনিটে গোল শোধ করেন নরওয়ের গুরো রেইটেন। এর মাধ্যমে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে জাপান কোনো গোল হজম না করার ডেডলক ভাঙে। বিপরীতে প্রতিপক্ষের জালে তারা দিয়েছিল ১১ গোল। পরবর্তীতে ১-১ সমতা নিয়েই ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়। 

দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দুদলই আক্রমণ শাণাতে থাকে। তবে এক্ষেত্রেও এগিয়ে জাপান। ফলে রিসা শিমিজু বিরতির পর নেমেই দলকে আবারও লিড এনে দেন। এরপর নরওয়ের বেশিরভাগ খেলোয়াড় আক্রমণে ওঠার প্রবণতাকে কাজে লাগিয়ে ৮১ মিনিটে আবারও গোল পেয়ে যায় জাপান। জয় নির্ধারণী তৃতীয় গোলটি আসে হিনাটা মিওয়াজার দারুণ ফিনিশিংয়ে।

কোয়ার্টারে এখনও প্রতিপক্ষ পায়নি এশিয়ান দেশটি। আগামীকাল (রোববার) যুক্তরাষ্ট্র-সুইডেন ম্যাচের জয়ী দলের সঙ্গে তারা সেমিফািইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে। আজ শেষ ষোলোর অন্য ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের মেয়েদের ৫-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় স্পেন। শেষ আটে তারা আগামীকালের নেদারল্যান্ডস-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের জয়ীদের বিপক্ষে খেলবে।

এএইচএস