সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপে সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মাধ্যমে আর্জেন্টিনার দীর্ঘ সময়ের আক্ষেপ ঘোচান লিওনেল মেসি। তার সামনে থেকে দেওয়া নেতৃত্বে সতীর্থরাও উজাড় করে খেলেছেন। তবে আর্জেন্টিনা, এমনকি বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম এই বড় বিজ্ঞাপনী ব্যক্তির  সম্মানে গত মার্চে একটা উদ্যোগের কথা জানিয়েছিল দেশটির ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ)। সে অনুসারে ফেডারেশনের স্পোর্টস কমপ্লেক্সে মেসির নামফলক বসানো হয়েছে।

রোজারিওতে জন্ম নেওয়া খুদে জাদুকর বর্তমানে সারাবিশ্বে জনপ্রিয় এক নাম। একইসঙ্গে দিয়েগো ম্যারাডোনার পর মেসি আলবিসেলেস্তেদের জন্য সবচেয়ে বড় সাফল্য এনে দিয়েছেন। তার সেই অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এএফএ-র স্পোর্টস কমপ্লেক্সে শোভা পাচ্ছে মেসির নাম। এর আগে মার্চে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে মেসিরা জন্মভূমি আর্জেন্টিনায় ছুটে যান। সেখানে পুরো আর্জেন্টিনা দল কাটিয়েছে অবিস্মরণীয় সময়। বিশ্বকাপের পর তিন তারকা জার্সিতে আর্জেন্টিনার প্রথমবার মাঠে নামাকে বুয়েন্স আয়ার্সের মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামের ৮৪ হাজার দর্শক স্মরণীয় করেও রাখে।

আরও পড়ুন >> ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত মেসির?

ওই সময় এএফএ’র প্রধান তাপিয়া এক টুইটে মেসির নামে অনুশীলন ক্যাম্পের নামকরণ করার ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে অনুশীলন সেন্টারের নতুন ফলকের ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেন, ‘কাসা দে এজেইজায় আমরা একটা ঐতিহাসিক সময় পার করেছি, আজ থেকে বিশ্বের সেরা ফুটবলারের সম্মানে যার নাম হবে লিওনেল আন্দ্রেস মেসি ক্যাম্প।’

সেই ধারাবাহিকতায় স্পোর্টস কমপ্লেক্সের বাইরেও আর্জেন্টাইন অধিনায়কের নামফলক বসানো হয়েছে। এর আগে তাপিয়ার ওই ঘোষণায় রোমাঞ্চিত মেসি জানিয়েছিলেন, ‘এটি আমার জন্য অবিশ্বাস্য এক আনন্দের মুহূর্ত। এই ট্রেনিং সেন্টারে আমি ২০ বছর ধরে পা রেখেছি এবং প্রথম দিন থেকেই এখানে অনুভব করেছি বাড়তি শক্তি। খারাপ সময়েও আমি এখানে এলে সব ভুলে যাই। সে জায়গার নামকরণও এখন আমার নামে হচ্ছে, সেজন্য আমি খুবই খুশি। বেঁচে থাকাবস্থাতেই এমন সম্মান আমার জন্য অনেক বড় স্বীকৃতি।’

আরও পড়ুন >> রোনালদোর ট্যাটু এঁকে তোপের মুখে আর্জেন্টাইন ফুটবলার

দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে মেসিদের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ ও ভেন্যু ঘোষণা দিয়েছে এএফএ। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠ মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

এএইচএস