দেশের শীর্ষস্থানীয় কোচ সাইফুল বারী টিটু। জাতীয় পুরুষ ফুটবল দল এবং শীর্ষ ক্লাবগুলোতে কোচিং করানো টিটু আজই নারী ফুটবলে প্রথম অনুশীলন করিয়েছেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মাঠে সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৭ দলকেও অনুশীলন করিয়েছিলেন তিনি। 

নারী ফুটবলারদের প্রথমবারের মতো অনুশীলন করানোর পর সাইফুল বারী টিটু প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন এভাবে,‌ ‘প্রথম দিনটি ভালোই কেটেছে। খেলোয়াড়রা বেশ স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। আমিও অনেক দিন পর (মাঝে ক্লাব কোচিং থেকে বিরত ছিলেন) অনুশীলন করিয়ে উপভোগ করেছি।’

জাতীয় নারী ফুটবল দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন সিনিয়র ও জুনিয়র উভয় দলকেই কোচিং করাতেন। টিটুও আপাতত দুই দলকেই দেখাশোনা করবেন। তাকে এশিয়ান গেমসের কোচ হিসেবে ঘোষণা করেছে বাফুফে। যদিও এশিয়ান গেমসের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড জটিলতায় টিটুর ডাগআউটে থাকা এখনও অনিশ্চিত।

তবে নিজের থাকা না থাকা নিয়ে তেমন ভাবছেন না এই কোচ,‌ ‘এশিয়ান গেমসের জন্য প্রস্তুতিটা ভালো দরকার। আগামী মাস দেড়েক প্রস্তুতিটা সর্বোচ্চ মানেরই করতে চাই। এরপর আমি যেতে পারব কিনা সেটা পরের বিষয়।’

নারী ফুটবলাররা এতদিন পল স্মলি এবং ছোটনের অধীনে অনুশীলন করে এসেছেন। টিটুও সেই ধারাবাহিকতাই রাখতে চান, ‘তারা একটি কাঠামোবদ্ধ ছকে অনুশীলন করেছে। আমি কোচিংয়ের সাধারণ প্রিন্সপাল অনুযায়ী সেটা অনুসরণ করব।’ 

আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে এশিয়ান গেমসের চীনের হাংজুতে শুরু হবে নারী ফুটবল প্রতিযোগিতা। এর কয়েকদিন আগে এএফসি অ-১৭ বাছাই রয়েছে ভিয়েতনামে। অ্যাক্রিডিটেশন জটিলতায় এশিয়ান গেমসে যাওয়া না হলেও অ-১৭ প্রতিযোগিতায় যেতে আপত্তি নেই সাবেক এই জাতীয় ফুটবলারের। ১৯৯০ সালে বেইজিং এশিয়ান গেমসে ফুটবলার এবং ২০১০ ও ২০১৪ এশিয়ান গেমসে কোচ হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন টিটু। 

বাংলাদেশের সাবেক এই ফুটবলার সংক্ষিপ্ত মেয়াদে জাতীয় দলে কোচিং করিয়েছেন কয়েকবার। শেখ জামাল, মোহামেডান, আরামবাগ, চট্টগ্রাম আবাহনীতেও কয়েক দফা কোচিং করিয়েছেন। সর্বশেষ টিটু চট্টগ্রাম আবাহনীতে ছিলেন। মৌসুমের মাঝপথে সরে আসেন তিনি। এরপর কোচিং ও ফুটবলাঙ্গন থেকে দূরে ছিলেন কয়েক মাস। পল এবং ছোটন না থাকায় বাফুফে কোচ শূন্যতায় ছিল। তাই বাফুফের প্রস্তাবে এশিয়ান গেমস পর্যন্ত কাজ করতে সম্মত হয়েছেন টিটু। 

এজেড/এএইচএস