ফাইল ছবি

দেশের ঐতিহ্যবাহী ও অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাব আবাহনী। ১৯৭২ সালে ঘরোয়া ক্রীড়া আবাহনী ক্রীড়া চক্র হিসেবে পথচলা শুরু করেছিল। সময়ের বিবর্তনে ক্লাবটির প্রাতিষ্ঠানিক নাম এখব আবাহনী লিমিটেড ঢাকা।

খেলার মাঠে আধুনিকতা প্রবর্তনের মতো ক্লাব পরিচালনায় আধুনিকতার ছাপ ছিল। প্রথম ক্রীড়া ক্লাব হিসেবে লিমিটেডে রুপান্তরিত হয় আবাহনী। সময়ের পরিক্রমায় ক্লাবের পরিচালক সংখ্যা বাড়লেও এখন সেই সংখ্যা ২১। আজমল কবীর ও শেখ বশির আহমেদ মামুন নতুন পরিচালক হিসেবে পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন৷ 

আবাহনীর পরিচালক হিসেবে ছিলেন সাবেক অনেক তারকাই। বর্তমান ২১ পরিচালকদের মধ্যে ক্রীড়াবিদ শুধু একজনই তিনি তানভীর মাজহারুল ইসলাম তান্না। আবাহনীর অন্যতম কিংবদন্তি আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, আব্দুস সাদেক আগে ক্লাবটির পরিচালক ছিলেন। সর্বশেষ তালিকায় অবশ্য তাদের নাম নেই। 

আবাহনীর পরিচালক তালিকায় নাম না থাকা নিয়ে ক্লাবটির কিংবদন্তি তারকা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু বলেন, 'কয়েক মাস আগে ক্লাব থেকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। সেখানে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোটি টাকা প্রদান করার কথা উল্লেখ ছিল। চিঠির ভাষাটি এমন ছিল অর্থ প্রদান করতে ব্যর্থ হলে পরিচালক পদ থাকবে না।' তালিকায় বাদ পড়া আরেক পরিচালক ডেডলাইনের পর অর্থ প্রদান করতে চাইলেও দিতে পারেননি। 

আব্দুস সাদেক বাংলাদেশের হকির জীবন্ত কিংবদন্তি। ১৯৭২ সালে আবাহনীর প্রথম ফুটবল দলের অধিনায়ক তিনি। ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের তালিকায় নাম না থাকা এবং আর্থিক বিষয়ে চিঠির বিষয়টি স্মরণ করতে পারেননি এই কিংবদন্তি।

আবাহনীর পরিচালকগণ: সালমান এফ রহমান (চেয়ারম্যান), কাজী শাহেদ আহমেদ ( ডাইরেক্টর ইন চার্জ), কাজী নাবিল আহমেদ (ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইন চার্জ), সাবের হোসেন চৌধুরী, হারুনুর রশীদ, তানভীর মাজহারুল ইসলাম তান্না, মোমেনউদ্দিন, আহম মোস্তফা কামাল, অন্জন চৌধুরী পিন্টু, শেখ হেলাল উদ্দিন, নুর আলী,কাজী আনিস, কাজী ইনাম আহমেদ, নসরুল হামিদ (বিপু), শাহরিয়ার আলম, নাজমুল হাসান পাপন, আহমেদ শাহরিয়ার রহমান, শায়ান এফ রহমান, ফাহিম সিনহা, আজমল কবীর ও শেখ বশির আহমেদ মামুন।

এজেড/এইচজেএস