মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপে বড় জয়ে শুভসূচনা করেছিল ব্রাজিল। পানামাকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিলেও সেলেসাও মেয়েরা স্বস্তিতে ছিলেন না। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও সেটারই দেখা মিলেছে। ফ্রান্সের বিপক্ষে আগে কখনোই জিততে পারেননি ব্রাজিলের মেয়েরা। সেই ধারাবাহিকতায় ব্রাজিল যেন মনের ভেতর ‌‌‘জুজু’ নিয়ে খেলতে নেমেছিল। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও গোল শোধ করেছিল তারা। কিন্তু শেষদিকে ফ্রান্সের পাল্টা আঘাতে ব্রাজিল ২-১ ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জ্যামাইকান মেয়েদের বিপক্ষে জিততে ব্যর্থ হয়েছিল ফরাসিরা। সে কারণে এই ম্যাচটি ছিল তাদের জন্য অনেকটা বাঁচা-মরার লড়াই। তবে কিছুটা হয়তো স্বস্তিতেও ছিল দলটি, কারণ তাদের সামনে যে কখনও জয় না পাওয়া সেলেসাওরা।

ব্রিসবেনের সানকর্প স্টেডিয়ামে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দর্শকদের উপভোগ্য এক ম্যাচই উপহার দিয়েছে ব্রাজিল-ফ্রান্স। ১৭ মিনিটে অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার ইউজিনি লা সোমারের গোলে এগিয়ে যায় ফরাসি মেয়েরা। জাতীয় দলের হয়ে এটি সোমারের ৯০তম গোল। তিনি ও কাদিদিয়াতু দিয়ানি মিলে প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্সকে ব্যতিব্যস্ত রাখেন।

আরও পড়ুন >> মাঠে নামলেই ইতিহাস গড়বেন ‘হিজাবধারী’ বেনজিনা

সেই গোল শোধ করতে ব্রাজিলকে ৫৮ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ব্রাজিলের কেরোলিনের নেওয়া জোরালো শট প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে দেবিনিয়ার কাছে আসে। এরপর সেটিকে না ঘুরেই দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফের শট করেন দেবিনিয়া। যা ফরাসি গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ায়। এরপর লিড পেতে দুপক্ষই তুমুল লড়াই জমিয়ে তোলে।

তবে ফরাসি মেয়েরা ব্রাজিল ডিফেন্সের বেশি পরীক্ষায় ফেলেন। বারবার রক্ষণ দেয়াল ভেদ করে সেলেসাওদের ডি বক্সে ঢুকে পড়েন তারা। সেই ধারাবাহিকতায় ফরাসি মেয়েরা সুযোগও পেয়ে যায়। ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে কর্নার থেকে নেওয়া শটে তাদের লিড এবং জয়সূচক গোলটি ধরা দেয়। কর্নার থেকে সেলমা বাচার বাঁকানো শটে বল পেয়ে যান অরক্ষিত রেনার। এই ফরাসি অধিনায়ক দারুণ হেডে ব্রাজিলকে হতাশায় ডোবান।

প্রায় ৫০ হাজার দর্শকের উপস্থিতি বেশ স্বার্থকই বলা চলে। দুপক্ষের প্রায় সমান লড়াই উপহার পেয়েছেন তারা। দ্বিতীয়বার পিছিয়ে পড়ার পর কিংবদন্তি মার্তাকে নামান ব্রাজিল কোচ পিয়া সুন্ধাগে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। এরপর আক্রমণে গেলেও শেষপর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ জ্যামাইকা। পরের রাউন্ডে যেতে হলে সেই ম্যাচে সেলেসাওদের জয়ের বিকল্প নেই।

এএইচএস