অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে চলমান মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে মরক্কো। সেখানে তাদের স্কোয়াডে আছেন হিজাব পরিহিতা ফুটবলার নোহাইলা বেনজিনা। জার্মানির বিপক্ষে পরাজিত হওয়া মরক্কোর প্রথম ম্যাচের একাদশে তিনি ছিলেন না। তবে পরবর্তী কোনো ম্যাচে বেনজিনা মাঠে নামলেই তৈরি হবে ইতিহাস। কেননা এর আগে সিনিয়র ফুটবলারদের বিশ্বকাপে হিজাব পরে খেলার রেকর্ড নেই!

এর আগে খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বিবেচনায় হিজাব পরে খেলায় ফিফার নিষেধাজ্ঞা ছিল। এছাড়া ফুটবলবোদ্ধাদের অনেকের মতে, স্কার্ফ পরে সকার খেললে অস্বস্তিতে পড়তে পারেন ফুটবলাররা। তবে বেনজিনা বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগমুহূর্তে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। বরং মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে হিজাব নিয়ে স্বস্তির কথা জানান এই মরক্কোর ফুটবলার।

বেনজিনা বলেন, ‘অনেক বছর ধরেই আমি হিজাব পরে খেলছি এবং তা নিয়েই আমি খুশি। দীর্ঘ সময় ধরে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম এবং সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ তিনি ইতিবাচক ফল দিয়েছেন। সর্বোচ্চ অবদান রাখার মাধ্যমে আমরা মরক্কোকে গর্বিত করতে চাই।’

মাথায় স্কার্ফ পরে কেবল মূল খেলাতেই নয়, বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলা বেনজিনার অনুশীলনেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। ইসলামী সংস্কৃতিতে নারীদের হিজাব পরিধানের বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিম বিশ্বও হিজাবকে ধর্মীয় প্রতীক হিসেবে প্রদর্শন করে থাকে। পরবর্তীতে ফিফাও মুসলিম মেয়েদের দাবির প্রেক্ষিতে তাদের সেই অধিকার পালনে অনুমোদন দেয়।

এর আগে ২০০৭ সালে ফুটবল মাঠে হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। পাঁচ বছর পর ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ফিফাও সেই পথে হাঁটে। যদিও এরপর কোনো হিজাবধারী ফুটবলারকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলতে দেখা যায়নি।

সে হিসেবে বেনজিনা হবেন বিশ্বকাপ এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ফুটবলে প্রথম হিজাবধারী খেলোয়াড়। ২৫ বছর বয়সী এই মরোক্কান দলের রক্ষণের (ডিফেন্ডার) দায়িত্ব সামলান। জার্মানির বিপক্ষের ম্যাচটিতে তার সুযোগ না মিললেও, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন বেনজিনা। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল (রোববার) সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময়)।

এএইচএস