আগেই গুঞ্জন ছিল এমন শাস্তি নিয়ে। ক্লাব ফুটবলের ইউরোপিয়ান পর্যায়ে দেখা যাবে না ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসকে এমনটা ধারণা করেছিলেন অনেকে। সেই শঙ্কাই সত্য হলো কাল। আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা জানিয়েছে, আগামী মৌসুমে ইউরোপা কনফারেন্স লিগে খেলার কথা থাকলেও তাতে খেলা হবে না তুরিনের ক্লাবটির।  

জুভেন্টাসের এমন দুঃসময়ের শুরু গত মৌসুম থেকে। দলবদলের চুক্তি ও অর্থ নিয়ে মিথ্যাচার করায় মৌসুমের শেষ ভাগে এসে ১০ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয় তাদের। যার ফলে ইতালিয়ান সিরি ‘আ’র শীর্ষ চার থেকে ছিটকে যায় তার। মৌসুম শেষ করে সাত নাম্বার স্থানে। 

এমন অবস্থানের ফলে চ্যাম্পিয়নস লিগ আর ইউরোপা লিগ এর বদলে নতুন চালু হওয়া ইউরোপা কনফারেন্স লিগে জায়গা করে নেয় তুরিনের বুড়িরা। কিন্তু, সম্পূর্ণ তদন্তের শেষে জানা গেল, নতুন সেই ইউরোপা কনফারেন্স লিগেও খেলা হবে না তাদের।

আরও পড়ুন: কনফারেন্স লিগ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলো জুভেন্টাস 

ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে (এফএফপি) নীতি ভঙ্গ করায় ইতালিয়ান ক্লাবটিকে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে উয়েফা। এখন তাই আগামী মৌসুমে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় দর্শক হয়েই থাকতে হবে তাদের। একই সঙ্গে ক্লাবটিকে ১৭১ মিলিয়ন পাউন্ডের মতো জরিমানাও করা হয়েছে। 

উয়েফা জানিয়েছে, ইতালিয়ান ক্লাবটি যদি আগামী তিন বছর আর্থিক নিয়মগুলো ঠিকঠাক মেনে চলে, তবে তাদের নির্ধারিত জরিমানার অর্ধেক দিতে হবে। আর জুভেন্টাস না থাকায় ইউরোপা কনফারেন্স লিগে দেখা যাবে ফিওরেন্তিনাকে। 

এদিকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের বিপরীতে আপিল না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে জুভেন্টাস। এক বিবৃতিতে ক্লাবের সভাপতি গিয়ানলুকা ফেরেরো বলেছেন, ‘আমরা উয়েফার আর্থিক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সিদ্ধান্ত নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা আমাদের কাজের বৈধতা ও যুক্তির বৈধতা সম্পর্কে দৃঢ়ভাবেই সুনিশ্চিত। যাহোক, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই বেদনাদায়ক সিদ্ধান্তের পরও আমরা নতুন মৌসুমে কোর্টে নয়, মাঠের খেলার মনোযোগী হব।’ 

জুভেন্টাসের পাশাপাশি শাস্তির মুখে পড়েছে ২০২১ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা দল চেলসিও। ‘অসম্পূর্ণ আর্থিক তথ্য’ জমা দেওয়ায় ইংলিশ ক্লাবটিকে জরিমানা করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। 

জেএ