বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে পা রেখেছেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিওনেল মেসি। মায়ামি শহর তো বটেই তার আগমনের পর থেকে উন্মাদনা শুরু হয়েছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে। তবে, উৎসবের রঙ মায়ামিতে একটু বেশিই বটে। রাস্তাঘাটে খানিক পরপরই মেসির গ্র্যাফিতি আর ম্যুরালের দেখা মিলছে এখন। 

কিন্তু মেসিকে ইন্টার মায়ামিতে আসতে দেখে নিশ্চয়ই খুশি নন তার নগর প্রতিদ্বন্দ্বীরা। মাঠের খেলায় এই আর্জেন্টাইন যে তাদের বড় প্রতিপক্ষ। সেকারণেই হয়ত মেসির এক দেয়ালচিত্র নষ্ট করে গিয়েছে প্রতিপক্ষের ভক্ত-সমর্থকরা। 

মেসিকে উৎসর্গ করে কয়েক সপ্তাহ আগেই এই দেয়ালচিত্র অঙ্কন করে ইন্টার মায়ামির কট্টর সমর্থক গোষ্ঠী 'ভাইস সিটি ১৮৯৬'। এই দেয়ালচিত্রে মূলত ইন্টার মায়ামির গোলাপি রঙ দিয়ে মেসিকে স্বাগত জানানো হয়েছিল।

নষ্ট হওয়া গ্রাফিতি

কিন্তু দিনদুয়েক আগে কে বা কারা যেন সেই গোলাপি দেয়ালচিত্রে বসিয়ে দিয়েছিল বেগুনি রঙ। কারা এই কাজ করেছেন, সেটা নিশ্চিত নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, দুটি দল এই কাণ্ড ঘটাতে পারে। যেখানে সম্ভাব্য একটি দল ভাবা হচ্ছে মায়ামি এফসি ও অন্য দলটি হলো অরল্যান্ডো সিটি এফসি। এর মধ্যে অরল্যান্ডো সিটিকেই দায়ী করছেন বেশিরভাগ মানুষ। কারণ, বেগুনি যে তাদেরই প্রতিকী রঙ। 

অবশ্য এসব নিয়ে ভাবার সময় ছিল না ভাইস সিটি ১৮৯৬ এর। নিজ ক্লাবের সেরা তারকার দেয়ালচিত্র ঠিক করতে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কাজে নেমে পড়েছে তারা। পুরো দেয়ালচিত্রকে আবারও ফিরিয়ে আনা হচ্ছে আগের রুপে। একদিনের মধ্যেই অনেকটা ফিরিয়ে আনা হয়েছে সেই দেয়ালচিত্র। 

তবে, নষ্ট হওয়া সেই গ্রাফিতি পুরোপুরি ঠিক করা হয়নি এখনো। ৮০ জন মানুষের ৮ রাতের প্রচেষ্টায় করা হয়েছিল এই দেয়ালচিত্র। সেটিকে একেবারে আগের রূপে ফিরিয়ে আনতেও বেশ কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। মূল ডিজাইনার মোরামার্কোর অধীনেই সেই কাজ করছেন একাধিক ইন্টার মায়ামি ভক্ত।     

দেয়ালচিত্র নষ্ট দেখার প্রতিক্রিয়ায় মোরামার্কো বলেছেন, ‘আমি হেসেছি, কিন্তু খুব ধাক্কাও খেয়েছিলাম। তবে, কেউ আমাদের কাজে বিরক্ত হচ্ছে মানে আমরা ঠিক কাজটাই করছি।’

জেএ