অবশেষে নিজেদের অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপেকে ছেড়েই দিচ্ছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন। ফ্রেঞ্চ এই স্ট্রাইকারকে ছাড়াই প্রাক-মৌসুমের জাপান এবং কোরিয়া সফর শুরু করছে ক্লাবটি। এর মাধ্যমে এমবাপের ক্লাব ত্যাগ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেলো। যদিও এর আগে আরেক তরুণ জাভি সিমনকে ধারে পাঠানোতে এমবাপের থেকে যাবার ধারণাই করেছিলেন অনেকে। 

তবে, শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় এমবাপেকে ছেড়ে দেয়াই উত্তম মনে করছে ক্লাবটি। দলবদলের বিশ্বস্ত সূত্র ফ্যাব্রিজিও রোমানো জানিয়েছেন, পিএসজি মনে করছে তারা এমবাপের কাছ থেকে প্রতারণার শিকার হয়েছে। সেইসাথে ২০২৪ সালে ফ্রি ট্রান্সফারে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার ব্যাপারে এমবাপের সবুজ সংকেত প্রদানকেও ভালোভাবে দেখছেনা ক্লাবটি। 

এসবের সূত্র ধরেই এমবাপেকে দলবদলের বাজারে বিক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে ক্লাবটি। যার অর্থ, খেলোয়াড়ের সম্মতিতে যেকোন ক্লাবই এখন এই ফ্রেঞ্চ তারকাকে নিজেদের করে নিতে পারবে। তবে, এমবাপে নিজে অন্য কোন ক্লাবে যেতে চান কিনা তা নিয়েও আছে প্রশ্ন। 

কিলিয়ান এমবাপে

 

বেশ কিছুদিন ধরেই এমবাপে এবং পিএসজির সম্পর্কে টানাপোড়েন ছিল। একাধিক সাক্ষাৎকারে ক্লাব সম্পর্কে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্যও করেছিলেন গত বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটজয়ী এই তারকা। এরপর থেকেই মূলত তাদের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়। 

পিএসজির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এমবাপেকে অবশ্যই চলতি গ্রীষ্মে দল ছাড়তে হবে, অথবা নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে। তবে এমবাপে এর কোনটিতেই রাজি ছিলেন না। আগামী গ্রীষ্মে ফ্রি ট্রান্সফারে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়াই ছিল তার লক্ষ্য। এমন অবস্থায় অনেকটা বাধ্য হয়েই এমবাপেকে ট্রান্সফার মার্কেটে তুলেছে পিএসজি। ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কোন খেলোয়াড়কেই ক্লাবের চেয়ে বড় করে দেখতে নারাজ তারা।’ শেষ পর্যন্ত তাই এমবাপেকে ছাড়াই জাপানের ফ্লাইট ধরেছে পিএসজির খেলোয়াড়রা। 

আগামী সপ্তাহে রোনালদোর আল-নাসর এবং জাপানের ক্লাব সেরেজো ওসাকার বিরুদ্ধে মাঠে নামবে পিএসজি। এরপর অগাস্টের ১ তারিখ টোকিওতে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলবে দলটি। আর এশিয়া সফরের শেষ ম্যাচে কোরিয়াতে জাংবুক হুন্দাইয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে দ্য প্যারিসিয়ানরা। 

জেএ