এমবাপের হাতে সময় আর ১৩ দিন
পৈত্রিক ভূমি ক্যামেরুনে লম্বা ছুটি কাটিয়ে প্যারিসে ফিরে এসেছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা কিলিয়ান এমবাপে। দলের সাথে যোগ দিয়েই প্রথম ট্রেনিং সেশনেও অংশ নিয়েছেন এই স্ট্রাইকার। তবে পিএসজিতে এটিই তার শেষবারের ফেরা কিনা তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
ফুটবলারদের গ্রীষ্মকালীন দলবদলের বাজারে হটকেক হয়ে উঠেছেন ফ্রান্সের এই তারকা খেলোয়াড়। বেশ কয়েক বছর ধরেই এমবাপের ট্রান্সফার নিয়ে দর কষাকষি চালিয়ে আসছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন এবং রিয়াল মাদ্রিদ। আর এই বিরোধ শেষ করতে এমবাপের হাতে সময় আছে মাত্র দুই সপ্তাহ।
বিজ্ঞাপন
এমবাপে নিজেও চান ক্লাব ছাড়তে। এরইমাঝে চিঠি দিয়ে ক্লাবকে জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করবেন না তিনি। এই চিঠির পর থেকেই শুরু হয়েছে দুই পক্ষের মাঝে বড় টানাপোড়েন।
আরও পড়ুন: রিয়াল মাদ্রিদেই যাচ্ছেন এমবাপে!
ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজি জানিয়েছে, এমবাপের হাতে এই মুহুর্তে দুটি দরজা খোলা। হয় নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর, অন্যথায় ক্লাব ত্যাগ করা। বর্তমান চুক্তিতে ২০২৪ পর্যন্ত মেয়াদ আছে। এরপরেই ফ্রি-তে তাকে দলে ভেড়াতে পারবে যেকোন দল। কিন্তু, এতেই যত আপত্তি পিএসজির। এমবাপেকে চড়া দামে বিক্রি করতে চায় ফরাসি ক্লাবটি। আর মেয়াদ শেষে ফ্রি এজেন্টে তাকে দলে ভেড়ানোর পরিকল্পনায় আছে মাদ্রিদ।
সোমবার ক্লাবের সাথে যোগ দেয়ার পরেই অনুশীলন করেছেন এমবাপে। কিন্তু, এই মুহুর্তে আর সবকিছুর চেয়ে চুক্তির দিকেই বেশি মনোযোগ ক্লাবের। ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকারকে জুলাই মাসের শেষদিন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ক্লাবটি। সে হিসেবে তার হাতে সময় আছে আর ১৩ দিন।
আরও পড়ুন: পিএসজিতে খেলে লাভ দেখছেন না এমবাপে
সংবাদ মাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, খুব দ্রুতই দুই পক্ষের আলোচনার টেবিলে বসতে পারে। দুই পক্ষের এই আলোচনায় নেদারল্যান্ডসের জাভি সিমনের ভাগ্যও নির্ধারণ হতে পারে। এমবাপে ক্লাবে থাকলে ধারে পাঠানো হবে জাভি সিমনকে। আর এমবাপে চলে গেলে ডাচ তরুণ থেকে যাবেন প্যারিসেই।
পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী, ২২ জুলাই জাপানে প্রাক মৌসুম প্রস্তুতির জন্য দেশ ছাড়বে পিএসজি। ২৫ জুলাই প্রাক মৌসুমের ম্যাচ আছে দলটির। ওই সফরে যাওয়ার কথা এমবাপের। তবে এরমাঝে দল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেলে জাপান যাওয়া হবেনা তার।
জেএ