ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময়েই একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পার করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসি। ইউরোপিয়ান ফুটবলের পর্ব শেষে দুজনেই এখন পাড়ি দিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশে। তবে ক্যারিয়ারের গোধূলি বেলাতেও মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ থামছে না। এবার তুলনার বিষয় কে কত ভালো লিগে খেলেন। 

প্রশ্নটা করা হয়েছিলো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কাছে। নিজ ক্লাব আল-নাসরের হয়ে বর্তমানে প্রাক মৌসুমের প্রস্তুতির জন্য পর্তুগালেই আছেন এই তারকা। সেখানেই এক প্রীতি ম্যাচে জানতে চাওয়া হলো, এমএলএসে কি কখনো তাকে দেখা যাবে। জবাবে রোনালদোর সোজা উত্তর, ‘যুক্তরাষ্ট্রের লিগের চেয়ে সৌদি আরবের লিগ ভালো অবস্থানে আছে। তাই দল না পালটে আল-নাসরেই থাকতে চান তিনি।  

অবশ্য শুধু সৌদি লিগের প্রশংসা করেই ক্ষান্ত হননি রোনালদো। সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন নিজের চিরচেনা ভঙ্গিমায়, ‘আমি সৌদি আরবে আসায় তারা আমার সমালোচনা করেছিলো… কিন্তু এখন কি হচ্ছে? আমিই সৌদি লিগে খেলার দরজা খুলে দিয়েছি আর এখন সব খেলোয়াড় এখানে যোগ দিচ্ছে।’  

রোনালদোর প্রত্যাশা এক বছরের মধ্যেই সৌদি লিগ আরও বেশি উন্নত পর্যায়ে যাবে। তুরস্কের কিংবা নেদারল্যান্ডসের ঘরোয়া লিগকেও ছাড়িয়ে যাবে মধ্যপ্রাচ্যের এই ফুটবল লিগ, এমনটা বিশ্বাস করেন সময়ের অন্যতম সেরা এই তারকা।

নিজের এমন বিশ্বাসের পেছনেও যুক্তি দিয়েছেন সিআরসেভেন, ‘আমি জানি এমনটাই হবে। কারণ, আমি যখন ইতালিয়ান লিগে গিয়েছি, তখন সিরিআ ছিলো মৃত এক লিগ। আমিই তাকে পুনরায় জীবন দিয়েছি। যেখানেই ক্রিশ্চিয়ানো যায়, সেখানেই অনেক বেশি আগ্রহ তৈরি হয়। আমি জানতাম, সৌদি আরবেও এমনটাই হবে। আগামী এক বছরে আরও অনেক খেলোয়াড় এখানে (সৌদি লিগ) যোগ দিবে, আমি নিশ্চিত।’ 

তবে, নিজেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী রোনালদো জানিয়ে দিয়েছেন, আর কখনই ইউরোপিয়ান ফুটবল লিগে দেখা যাবেনা তাকে। খুব সহজেই জানালেন, ‘ইউরোপের দরজা আমার জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমার বয়স এখন ৩৮। আর ইউরোপিয়ান লিগগুলো অনেক বেশি মান হারিয়ে ফেলেছে। একমাত্র যে লিগ অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে আছে তা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ।’ 

এমন আলোচিত সাক্ষাৎকারের দিনে অবশ্য মাঠের সময়টা ভালো যায়নি রোনালদোর। স্প্যানিশ ক্লাব সেল্টা ভিগোর কাছে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হেরেছে রোনালদোর আল-নাসর। রোনালদো অবশ্য খেলেছেন মোটে ৪৫ মিনিট। পরের ম্যাচে আরও বেশি সময় মাঠে থাকবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন এই তারকা। 

জেএ