রেফারিকে অনৈতিকভাবে অর্থপ্রদানের অভিযোগে গত মৌসুমজুড়ে ভুগেছিল বার্সেলোনা ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সেই অভিযোগের এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। পরবর্তীতে খেলোয়াড়দের অর্থ পরিশোধে অনিয়মের দায়ে বিশাল অঙ্কের অর্থ জরিমানার মুখেও পড়ে ক্লাবটি। স্পেনের কর বিভাগ তাদেরকে ১৮৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি জরিমানা করে। এবার আর কাতালান ক্লাবটি নয়, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে।

এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ। তাদের মতে, সাবেক স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা ২০ শতাংশ ব্যয়ের তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছে। যেখানে ২০২২ সালের অক্টোবরে লেনদেন হওয়া প্রায় ১২২ মিলিয়ন ইউরোর হিসাব পায়নি বলে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

আরও পড়ুন >> রিয়ালের সঙ্গে প্রথম ক্লাসিকো হবে বার্সার মাঠে

টেলিগ্রাফ বলছে, ইউরোপীয় ফুটবলের সবচেয়ে সফল ক্লাবটি ১৩৫ মিলিয়ন ইউরো ‘অন্যান্য খরচের’ মধ্যে ধরেছে। যা তারা গত অক্টোবরে প্রকাশ করেছিল। তবে সেখানে ১২২ মিলিয়ন ইউরো খরচের কোনো হিসাব দেয়নি। এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি ক্লাব কর্মকর্তারা। তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাইভেট ইকুইটি গ্রুপ প্রভিডেন্সের ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চুক্তি হয়েছিল। ভবিষ্যৎ আয়ের ওপর ভিত্তি করে সংস্থাটি তাদের নগদ অর্থ দেয়। পরবর্তীতে বাড়ানো হয় দুপক্ষের সেই চুক্তির মেয়াদ।

এদিকে নতুন মৌসুম শুরুর আগে দল গোছাচ্ছে রিয়াল। ইতোমধ্যে দলে টানা হয়েছে তরুণ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম, আর্দা গুলার, ফেরান গার্সিয়া এবং জোসেলুরা। এর আগে ক্লাব ছেড়েছেন করিম বেনজেমা, মার্কো আসেনসিও, এডেন হ্যাজার্ড ও মারিয়ানো দিয়াজ। অর্থাৎ অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ সত্ত্বেও ক্লাবটি পুরোদমে খেলোয়াড় বিকিকিনি করছে।

আসন্ন মৌসুমেও রিয়ালের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কার্লো আনচেলত্তি। এরপরই তিনি ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্বে যোগ দেবেন। শেষ মৌসুমটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চান ইতালিয়ান ‘মাস্টারমাইন্ড’। ২০২৩-২৪ মৌসুমে তার ফর্মেশন হতে পারে ৪-৩-৩। ইতেমধ্যে ক্লাবের অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন শিষ্যদের অনেকে। বাকিরাও চলে আসবেন শিগগিরই।

এএইচএস