দলবদলের মৌসুম শুরুর পর থেকেই সব আলোচনার কেন্দ্রে আছে সৌদি আরব। বিশ্বকাপের পর পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ভিড়িয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলো আল-নাসর। এরপর থেকেই প্রতিনিয়ত ট্রান্সফার মার্কেটে শিরোনাম হচ্ছে সৌদি ক্লাবগুলো। ইউরোপ থেকে তারকা খেলোয়াড়দের বিপুল অর্থে টেনে আনছিলো এসব ক্লাব। 

তবে এবার খেলোয়াড় আনার এই প্রক্রিয়ায় বাদ সেধেছে ফিফা। রোনালদোর ক্লাব আল নাসরের বিপক্ষেই এলো প্রথম নিষেধাজ্ঞা।

ঘটনার মূল সূত্রপাত ২০১৮ সালে। সেবার ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার আহমেদ মুসাকে কিনে নেয় আল-নাসর। দুই বছর পর ২০২০ সালে তাকে ছেড়েও দেয় ক্লাবটি। তবে দলবদলের পাঁচ বছর পরেও লেস্টার সিটিকে চুক্তির পুরো টাকা পরিশোধ করেনি রোনালদোর ক্লাবটি।  

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, সৌদি ক্লাবটি থেকে এড অন্স বাবদ ৩ লাখ ৯০ হাজার পাউন্ড পাবে লেস্টার সিটি। কিন্তু সামান্য এই অর্থ পরিশোধেই গড়িমসি আল-নাসরের। এর আগে, ২০২১ সালে ক্লাবটিকে সতর্কও করেছিলো ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। কিন্তু, তারপরেও টাকা পরিশোধ করেনি তারা। 

এরই প্রেক্ষিতে ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়ছে আল-নাসর। যার ফলে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার আগে পর্যন্ত আর কোন খেলোয়াড়কে দলে রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবেনা তারা। যদিও, ক্লাবটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিফা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে তারা অর্থ পরিশোধ করে দিতে রাজি আছে। 

এদিকে চলতি মৌসুমকে সামনে রেখে, বেশ ক’জন ইউরোপের বড় ফুটবলার আনার পরিকল্পনা ছিল আল নাসরের। এর মধ্যে ইন্টার মিলান থেকে কেবল ক্রোয়েশিয়ার মার্সেলো ব্রোজোভিককে কিনতে পেরেছে তারা। বাকি দলবদলের আগে এই নিষেধাজ্ঞা কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় ফেলবে ক্লাবের সমর্থকদের। 

জেএ