ফাইল ছবি

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে দুই দলের ব্যবধান প্রায় একশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মাঠের লড়াইয়ে অবশ্য সেটা দৃশ্যত হয়নি। বাংলাদেশ বেশ ভালোমতোই লড়েছে প্রথমার্ধে। বাংলাদেশ ও লেবানন দুই দলের কেউই গোল করতে না পারায় গোলশূন্য স্কোরলাইনে প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে। 

ব্যাঙ্গালুরুর শ্রী কান্তেরাভা স্টেডিয়ামের ম্যাচের শুরু থেকে বল পজেশন ও নিয়ন্ত্রণ ছিল লেবাননের। লেবানন কয়েকটি আক্রমণ করলেও গোল অবশ্য আদায় করতে পারেনি। তারিক কাজী, তপু বর্মণের নেতৃত্বে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ সেভাবে ভাঙতে পারেনি লেবানিজরা। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোও দুর্দান্ত দু’টি সেভ করেছেন। 

বাংলাদেশ রক্ষণেই বেশি মনোযোগ দিয়েছে। লেবানিজদের আক্রমণ রুখে বাংলাদেশের ফুটবলাররা সুমন রেজার উদ্দেশে বল ঠেলেছে কয়েকবার। সুমন একা বল দখল করে রাখলেও আক্রমণ সেভাবে রচিত করতে পারেননি।

ম্যাচের ৪৩ মিনিটে বাংলাদেশ একটি দারুণ আক্রমণের ভিত গড়েছিল। ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সের ভেতরে প্রবেশ করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। সুমনের উদ্দেশে তার ক্রস নেওয়ার মুহূর্তে লেবানিজ ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করে কর্নার করেন। বাংলাদেশ প্রথমার্ধে একটি কর্নার পেলেও লেবানিজরা আদায় করেছে চারটিরও বেশি। 

শুধু কর্নার নয় ফ্রি-কিকও পেয়েছে বেশ কয়েকটি। সোহেল রানা একটি বিপদজ্জনক ফাউল করেছিলেন। এই ফাউল আর কয়েক গজ এদিক-ওদিক হলে পেনাল্টিতে রূপ নিতে পারত। যদিও সেই ফ্রি-কিক থেকে আক্রমণই করতে পারেনি লেবানন। লেবানন বল পজেশনে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে সমন্বয় সেভাবে করতে পারেনি। 

অবশ্য ব্যাঙ্গালুরুর শ্রী কান্তেরাভা স্টেডিয়ামের মাঠটি খানিকটা ভারি। তাই দুই দলেরই গতিময় ফুটবল খেলায় কিছুটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। 

এজেড/এফআই