প্রথম কোনো খেলোয়াড় হিসেবে ২০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার নজির স্থাপন করেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমে এমন অনন্য রেকর্ড গড়েন রোনালদো। 

এদিন রোনালদোকে সম্মান জানায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ারের ১৯ বছর ৩০৪ দিন বয়সে তিনি ২০০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। তার যাত্রাটা শুরু হয়েছিল ২০ বছর আগে কাজাখস্তানের বিপক্ষে ২০০৩ সালের ২০ আগস্ট।

এমন স্মরণীয় ম্যাচে তার শেষ মুহূর্তের গোলে নিশ্চিত ড্র থেকে রক্ষা পেয়েছে পর্তুগাল। নির্ধারিত সময়ের মাত্র এক মিনিট বাকি থাকতেই জোরালো শটে সিআরসেভেন জাল কাঁপান। আর তাতেই আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে পর্তুগিজরা।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে রেকর্ডের বরপুত্র বললে মোটেই অত্যুক্তি হবে না। একের পর এক রেকর্ড গুঁড়িয়ে দিয়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড আগেই করেছিলেন। পর্তুগালের হয়ে করেছেন ১২৩ টি গোল। এছাড়া ক্লাব ফুটবলেও অসংখ্য রেকর্ডে রাঙিয়েছেন। কাতার বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর অনেকেই রোনালদোর শেষ দেখে ফেলেছিলেন। তবে নতুন কোচ হিসেবে রবার্তো মার্তিনেজ দায়িত্ব নিয়ে রোনালদোকে ফেরান। তার অধীনে ৪ ম্যাচ খেলে ৫ গোল দিয়েছেন সিআরসেভেন।

২০০ তম ম্যাচে খেলতে নামার আগে ৩৮ বছর বয়সী রোনালদো বলেছিলেন, ‘পর্তুগাল জাতীয় দলে খেলার আশা আমি কখনো ছেড়ে দেব না। কারণ, এটা একটা স্বপ্ন। ২০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা প্রমাণ করে, আমি আমার দেশ ও দলকে কতটা ভালোবাসি। আমি রেকর্ডের পেছনে ছুটি না, রেকর্ডই আমার পিছু নেয়। আমি খুবই খুশি, সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এটা অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করে।’ 

জাতীয় দলের জার্সিতে স্মরণীয় ম্যাচ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে আবেগাপ্লুত রোনালদো বলেন, শুধু একটি উল্লেখ করা কঠিন। ইউরো ২০১৬ , নেশন্স লিগে আমার দারুণ সব মুহূর্ত ছিল। আমি বরং বলতে চাই যে পরের খেলাটি সবচেয়ে সুন্দর। ২০০ তম ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়ের তালিকায় প্রথম হতে পেরে আমি গর্বিত। এটি এমন কিছু যা আমি কল্পনাও করিনি।

এফআই