ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কার হচ্ছে ব্যালন ডি’অর খেতাব। গণমাধ্যম প্রতিনিধি, জাতীয় দলের অধিনায়ক ও কোচদের ভোটের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয় বর্ষসেরা খেলোয়াড়। ব্যালন ডি’ অর পুরস্কার কার হাতে উঠছে, সেটি দেখার জন্য সারা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে। চলতি বছরের ব্যালন ডি’অর প্রদানের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। 

আজ (শুক্রবার) সামাজিক মাধ্যমে ‘ফ্রান্স ফুটবল’জানিয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এক জমকালো আয়োজনে ২০২২-২৩ মৌসুমের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হবে।

অবশ্য তার আগে ৬ সেপ্টেম্বর পুরস্কারটির জন্য মনোনীত ফুটবলারদের নাম প্রকাশ করবে তারা। যেখানে পুরুষ বিভাগে বর্ষসেরা নির্বাচনের জন্য ৩০ জন ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাদের মধ্যে একজনের হাতে উঠবে ২০২৩ সালের ব্যালন ডি’অর।

কার হাতে উঠছে ব্যালন ডি’ অর? 

৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেওয়ার পর অনেকে মনে করছেন অষ্টমবারের মতো ব‍্যালন ডি’অর জিততে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। তবে অনেকের চোখে এগিয়ে ম‍্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড। ফুটবলের  বিশ্বখ্যাত  ওয়েবসাইট  গোল  ডট কমের  দৃষ্টিতে আসন্ন ২০২৩ ব্যালন ডি’অরের জন্য ফেবারিট পাঁচ ফুটবলারের তালিকাটা একবার চোখ ভুলিয়ে নেওয়া যাক।

আর্লিং হলান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি): প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ জয়ের পর ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল জয়ের অপেক্ষায় থাকা আর্লিং হলান্ড ইতোমধ্যে গোল মেশিন হিসেবে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার কিংবদন্তির আসনে স্থান করে নিয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রিমিয়ার লিগে ৩৬ গোল করে ইউরোপীয় গোল্ডেন বুট নিশ্চিত করে ফেলেছেন এই নরওয়েজিয়ান। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তিনি যদি গোল করে সিটিকে শিরোপা এনে দিতে পারেন, তাহলে হয়তো লিওনেল মেসিকে টপকে ২০২৩ সালের ব্যালন ডি’অর জয় করে নিতে পারেন তিনি। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় ৫২ ম্যাচে ৫২ গোল করার পাশাপাশি নয় গোলের যোগান দিয়েছেন হলান্ড।

লিওনেল মেসি (পিএসজি/মায়ামি): বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা এবং ব্যক্তিগত পুরস্কার গোলেন্ডন বল জয়ের মাধ্যমে রেকর্ড অষ্টম ব্যালন ডি’অর খেতাব জয়ের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছেন মেসি। তবে ক্লাব ফুটবলে খুব একটা ভালো সময় কাটেনি তার। সদ্য বিদায়ী ক্লাব পিএসজিকে লিগ ওয়ানের শিরোপা জয়ে ভুমিকা রাখলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে নিজ ক্লাবের ছিটকে পড়াটা ছিল মেসির জন্য হতাশার। এবারো হয়তো ব্যালন ডি’অর খেতাব জয় করতে পারেন মেসি। তবে সেটি একেবারেই নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে মৌসুমে পিএসজির হয়ে সব প্রতিযোগিতায় ৪১ ম্যাচে ২১ গোলের বিপরীতে সহায়তা করেছেন আরো ২০ গোলে। 

এছাড়া ব্যালন ডি’অর খেতাব জয়ের দৌড়ে আছেন পিএসজির কিলিয়ান এমবাপে,  ম্যানচেস্টার সিটির কেভিন ডি ব্রুইনা এবং নাপোলির ভিক্টর ওসিমেনও। 

এফআই