ফিফা কর্তৃক বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার পর একটি তদন্ত কমিটি করেছিল দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। নির্বাহী কমিটির বেধে দেওয়া ৩০ কর্মদিবসের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ জুন। 

আজ (বুধবার) তদন্ত কমিটির ষষ্ঠ সভা শেষে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কর্মকান্ডের অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের আরো কয়েকটি সভা প্রয়োজন হবে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অল্প কিছু বেশি লাগতে পারে। এজন্য আমরা সভাপতির কাছে সময় চাইতে পারি।’ 

একটু বেশি সময় চাওয়ার কারণটিও ব্যাখ্যা করেছেন বাফুফের এই সহ-সভাপতি, ‘কিছু দিন আগে আমি রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে দশ দিন ছিলাম। এর মধ্যেও তদন্ত কার্যক্রম চলমান ছিল। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের হয়তো অল্প কিছু সময় বেশি প্রয়োজন হতে পারে।’ 

তদন্ত কমিটির সদস্যরা

তদন্ত কমিটির পরবর্তী সভার সম্ভাব্য দিন আগামী সপ্তাহের সোমবার ঠিক করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে দু’টি সভা এবং এর পরবর্তী সপ্তাহে সভার মাধ্যমে তদন্ত কমিটির কার্যক্রম শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ সম্পর্কে নাবিল বলেন, ‘তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নির্বাহী কমিটিকে দেওয়া হবে। নির্বাহী কমিটির এরপর সিদ্ধান্ত নেবে’। বাফুফের এই কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হওয়া উচিত।

ফিফার ৫২ পাতার রিপোর্টে বাফুফের কেনাকাটায় আর্থিক অনিয়ম ও অসঙ্গতির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি ষষ্ঠ সভা পর্যন্ত বাফুফের স্টাফদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে কেনাকাটা হয়েছে এদের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কে নাবিল বলেন, ‘এখনো তাদের সঙ্গে কথা হয়নি। প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে কথা হতে পারে’। 

এজেড/এফআই