মার্টিনেজের ঢাকা সফর সংক্ষিপ্তের পরিকল্পনা
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়েনো মার্টিনেজ। ৪-৫ জুলাই বাংলাদেশের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের কলকাতায় আসবেন। দুই দিনের কলকাতা সফরের আগের দিন ঢাকায় তাকে আনা নিয়ে চলছে পরিকল্পনা।
কলকাতায় মার্টিনেজকে নিয়ে আসছে স্পোর্টস প্রমোটার কোম্পানি শতদ্রু দত্ত ইনিসিয়েটিভ । সেই কোম্পানির অন্যতম কর্ণধার শতদ্রু দত্ত মার্টিনেজের বাংলাদেশ সফর নিয়ে কাজ করতে গতকাল ভোর রাতে বাংলাদেশে এসেছেন। আজ বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। মার্টিনেজের সফরের সর্বশেষ পরিস্থিতি ঢাকা পোস্টকে ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, 'অনেকের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করেছি। একটি সংক্ষিপ্ত সফরের পরিকল্পনা করে এগুচ্ছি।'
বিজ্ঞাপন
আগের পরিকল্পনা ছিল মার্টিনেজ ৩ জুলাই সকালে ঢাকায় নামবেন। পরের দিন সকালে কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। সেই পরিকল্পনা থেকে কিছুটা পিছু হটছেন শতদ্রু ‘আমরা এখন সংক্ষিপ্ত সফর নিয়ে ভাবছি। সেটা হয়তো দুপুরের দিকে নেমে বিকেলে একটা প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে রাতে আবার কলকাতায় পৌছানো।'
সফর সংক্ষিপ্ত করার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে জানা গেছে, পেমেন্ট প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ প্রেরণ এখন অনেক সময় সাপেক্ষ। মার্টিনেজ বাংলাদেশে বেশি সময় অবস্থান করলে ব্যয়ও বাড়বে। এতে বৈদেশিক মুদ্রাও অনেক বেশি লাগবে। তাই একটি অতি সৌজন্যতামূলক সফর স্বল্প খরচের মধ্যেই সংক্ষিপ্তের পরিকল্পনা চলছে।
বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি বিকাশ আর্জেন্টিনার এশিয়ার মার্কেটিং পার্টনার হয়েছিল। এই স্বত্ত্বের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণের অনুমতি পায়নি বিকাশ। মার্টিনেজের ক্ষেত্রেও এটি একটি বিষয়, 'আমি যেটাই করব সেটা রাষ্ট্রীয় আইন অনুসারে। মার্টিনেজ বা আমি যাতে কোনো প্রশ্নের মধ্যে না পড়ি সেভাবেই এগোবো' বলেন ভারতীয় এই ক্রীড়া কর্মকর্তা।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ জেমি ডে’র পাওনা পরিশোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি পেতে বাফুফেকে কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে। মার্টিনেজকে বাংলাদেশের কোন কোম্পানি আনবে সেটা এখনো নিশ্চিত হয়নি। শতদ্রু স্পোর্টসের সঙ্গে বাংলাদেশের কোম্পানির আনুষ্ঠানিক চুক্তির পর সেই কোম্পানি বাংলাদেশ সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণের অনুমতি চাইবে। প্রক্রিয়াটি যেমন সময়সাপেক্ষ আবার অন্যদিকে প্রস্তাবিত সফরও খুব আসন্ন।
এই প্রসঙ্গে শতদ্রু দত্ত বলেন, 'বিকাশের সঙ্গে আমাদের আলোচনা অনেকেই ইতিবাচক পর্যায়ে। আশা করি সংক্ষিপ্ত সফরে মার্টিনেজকে আনা সম্ভব হবে। ঢাকায় কোনো কারণে না আসলে ৩ জুলাই দুবাই থাকবে মার্টিনেজ। একজন বাঙালি হিসেবে আমি মার্টিনেজকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি ঢাকায় আনতে।'
এজেড/এইচজেএস