ইউরোপা লিগে সেভিয়ার সপ্তম শিরোপা
পাওলো দিবালার দারুণ গোলে এগিয়ে গিয়ে ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না রোমা। নিজেরাই নিজেদের জালে পাঠাল বল। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই জমে উঠল, অসংখ্য ফাউলের ঘটনায় ছড়াল বাড়তি উত্তাপ। কিন্তু আর কোনো গোলের দেখা মিলল না। ১২০ মিনিটের খেলা শেষে টাইব্রেকারে মিলল বিজয়ীর দেখা। আরও একবার ইউরোপা লিগ জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসল সেভিয়া।
হাঙ্গেরির পুসকাস অ্যারেনায় বুধবার রাতের ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-১ গোলে জিতেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ গোলের পর অতিরিক্ত সময়ও ওই স্কোরলাইনে শেষ হয়।
বিজ্ঞাপন
টাইব্রেকারে সেভিয়ার চার জন শট নিয়ে সবাই পান সাফল্য। আর অসাধারণ সেভ করে নায়ক বনে যান তাদের গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো।
রোমার মাত্র একজন জালের দেখা পান, ব্রায়ান ক্রিস্তান্ত। তাদের দ্বিতীয় শট নেওয়া জানলুকা মানচিনির প্রচেষ্টা পা দিয়ে রুখে দেন বোনো। ইবানেসের শটেও ঠিক দিকে লাফ দেন তিনি, বলে অবশ্য হাত লাগাতে পারেননি, পোস্টে লাগে বল। সেভিয়া এগিয়ে যায় ৩-১ এ।
তাদের চতুর্থ শুটার গনসালো মনতিয়েলের শট পোস্টে লাগলে ক্ষনিকের জন্য আশা জাগে রোমার। তবে শট নেওয়ার আগেই গোলরক্ষক রুই পাত্রিসিও গোললাইন থেকে এগিয়ে যাওয়ায় আবার শট নেওয়ার সুযোগ পান মনতিয়েল। এবার কোনো ভুল নয়। বল জড়ায় জালে, শিরোপা জয়ের উৎসব শুরু হয় সেভিয়ার।
ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা এই প্রতিযোগিতায় সেভিয়া আগে ছয়বার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল। ফাইনালে শতভাগ সাফল্যের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখল তারা।
অন্যদিকে, রোমার কোচ জোসে মরিনিয়ো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় আগে পাঁচবার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই পেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ। এবার তাকে ফিরতে হলো খালি হাতে, মন বেজার করে।
এইচজেএস