চলতি মৌসুমের শুরুতে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। বুন্দেস লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও জার্মান কাপে তাদের বেশ সুযোগও ছিল। ছিল ফুটবলারদের দারুণ ফর্মও। কিন্তু সেসব ছাপিয়ে একই মৌসুমে সম্পূর্ণ বিপরীত দুটি চিত্র দেখেছে জার্মান জায়ান্ট ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। তবে হাতছাড়া হতে হতে বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতেছে বাভারিয়ানরা। তবে দল জিতলেও প্রধান নির্বাহী (সিইও) অলিভার কান ও স্পোর্টিং ডিরেক্টর হাসান সালিহামিদজিচকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গতকাল (২৭ মে) সন্ধ্যায় রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে কোলনের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। এ নিয়ে তারা বুন্দেসলিগার টানা ১১ শিরোপা গতকাল ঘরে তুলল। কিন্তু মৌসুমের সম্ভাব্য অন্য ট্রফি হাতছাড়া করার খেসারত দিতে হয়েছে বায়ার্নের দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে।

আরও পড়ুন >> ডর্টমুন্ডের স্বপ্নভঙ্গ, শিরোপা বায়ার্নের

ম্যাচ শেষে তাদের বরখাস্তের বিষয়টি জানিয়ে ক্লাব সভাপতি হার্বাট হেইনার বলেন, ‘অলিভার কানের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া তত্ত্বাবধায়ক বোর্ডের পক্ষে সহজ ছিল না। তবু সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা বোর্ডের কার্যনির্বাহীর শীর্ষ পদে নতুন কাউকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার দায়িত্বশীলতা, চিন্তাভাবনা ও আমরা যা অর্জন করেছি তার জন্য অলিভার কানকে ধন্যবাদ জানাই। বায়ার্ন মিউনিখে সে সব সময় বড় ব্যক্তিত্ব হয়ে থাকবে। তার ভবিষ্যতের সর্বোচ্চ সফলতা কামনা করছি।’

২০২০ সালেরর ১ জানুয়ারি কার্ল হেইঞ্জ রুমিনিগের পরিবর্তে বায়ার্নের প্রধান নির্বাহী হয়েছিলেন কান। সাড়ে তিন বছরের দায়িত্ব শেষে গতকাল চাকরি হারালেন ২০০২ বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জয়ী জার্মান গোলরক্ষক। কানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ইয়ান ক্রিস্টিয়ান ড্রেসেন। তবে সালিহামিদজিচের পরিবর্তে দায়িত্ব কে নেবেন, তা এখনও জানা যায়নি।

আরও পড়ুন >> রোনালদোকে বায়ার্নে ভেড়াতে চান জার্মান ব্যবসায়ী

গতকালকের ম্যাচের আগপর্যন্ত মূলত শিরোপা ছোঁয়া দূরত্বে ছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তারা জিতলে বিনা সমীকরণেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত। যদি বায়ার্ন-ডর্টমুন্ড দুটো দলই যার যার খেলায় ড্র করতো, তাতেও চ্যাম্পিয়ন হতো ডর্টমুন্ড। এমনকি ডর্টমুন্ড হারলেও বায়ার্নের ড্রতে হয়ে যেত চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে বায়ার্নের জয়ের তো কোনো বিকল্প ছিল না। কিন্তু মেইনৎজের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র এবং অপর ম্যাচে বায়ার্নের জয় ডর্টমুন্ডের সেই স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

এর আগে দলের ব্যর্থতায় আঙুল উঠেছিল জার্মানির সাবেক গোলরক্ষক কানের দিকে। শঙ্কা জেগেছিল তার চাকরি হারানোর। অবশেষে সেটাই হলো। এছাড়া মৌসুমের মাঝপথে বাভারিয়ানদের কোচ নাগালসম্যানের ছাটাইও শিষ্যদের ছন্দ নষ্টের অন্যতম কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার অধীনে দুর্দান্ত খেললেও, হঠাৎই নাগালসম্যানের পরিবর্তে ডাগআউটে আনা হয় থমাস টুখেলকে। টানা হারতে থাকা টুখেল মৌসুম শেষে স্বান্তনার জয় পেয়েছে।

এএইচএস