মেসির গোলে রেকর্ড গড়ে পিএসজির শিরোপা
টানা কয়েক ম্যাচ জিতে আগেই শিরোপার কিয়দাংশ নিশ্চিত করে রেখেছিল প্যারিসিয়ান সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ফলে মাত্র এক পয়েন্টই তাদের রেকর্ড গড়ে শিরোপা জয়ের যথেষ্ট ছিল। হলোও তাই, জয় প্রয়োজন নেই বলে শেষদিকে এক গোল হজম করে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপেরা। ম্যাচ সেভাবে জমিয়ে তুলতে না পারলেও, দু’দলেরই ডেডলক ভাঙতে হিমশিম খেতে হয়েছে। মেসিই পিএসজির হয়ে সেই বাধ ভেঙে দেন। জয়হীন থাকলেও, টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে একাদশ শিরোপা জিতেছে প্যারিসিয়ানরা।
শনিবার (২৭ মে) রাতে ফরাসি লিগ আঁ-তে স্ট্রাসবুর্গের দর্শকে ঠাসা মাঠে অতিথি হয়ে নেমেছিল ক্রিস্তফ গ্যালতিয়ের দল। প্রতিপক্ষের মাঠে এদিন বল দখলে এগিয়ে থাকলেও, মেসিরা গোল করার মতো খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারছিলেন না। বরং গোলের সুযোগ স্ট্রাসবুর্গই বেশি পেয়েছে। ৫৯ মিনিটে মেসির গোলে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা এগিয়ে গেলেও, ৭৯তম মিনিটে সেই গোল শোধ করে দেয় স্বাগতিকরা।
বিজ্ঞাপন
ম্যাচের দশম মিনিটে প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন এমবাপে। তবে এগিয়ে এসে বিপদ থেকে দলকে রক্ষা করেন স্ট্রাসবুর্গ গোলরক্ষক ম্যাটস সেলস। পিএসজি ফুটবলারদের ব্যাকপাস এদিন অনেক বেশি চোখে পড়ে। ১৫ মিনিটে সেরকম এক পাস দিতে গিয়ে তাদের ভুলে বল পেয়ে যায় স্ট্রাসবুর্গ। কোনাকুনি শট নিলেও, সার্জিও রামোসের কল্যাণে সেই যাত্রায় তারা বেঁচে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে মরিয়া প্যারিসিয়ানরা স্ট্রাসবুর্গ দুর্গ ভাঙার জোর চেষ্টা চালান। কিন্তু তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না পিএসজি। অবশেষে মেসি সেই ডেডলক ভাঙেন। ফরাসি ফরোয়ার্ড এমবাপের পাস ধরে শেষ কাজ সারেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। চলতি আসরে এটি তার ষোড়শ গোল। এর মাধ্যমে তিনি ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়ে ফেললেন। এতদিন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর (৪৯৫ গোল) সঙ্গে ভাগাভাগি করলেও, এদিন পর্তুগিজ সুপারস্টারকে ছাড়িয়ে যান তিনি।
ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ এসেছিল এমবাপের হাত ধরে। ৭০ মিনিটে প্রতি আক্রমণে পায়ের কারিকুরি আর গতিতে বল নিয়ে ডি-বক্সে পৌঁছে যান মেসি। পেনাল্টি স্পটের কাছে থাকা ফরাসি ফরোয়ার্ডকে দিলে সেটি তিনি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। একের পর এক আক্রমণ করে যাওয়া স্ট্রাসবুর্গ সমতা ফিরে ৭৯তম মিনিটে। মর্গান সানসনের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা। আলগা বলে বাকিটা সারেন পিএসজিরই সাবেক খেলোয়াড় কেভিন গামেইরো।
এএসইচএস